বিলুপ্ত প্রায় উদ্ভিদ কেলি কদম। দিনাজপুর সরকারি কলেজের উত্তর-পশ্চিম কোনে জীববিজ্ঞান ভবনের পেছনে এ উদ্ভিদ গাছটি রয়েছে। ৪০-৫০ ফুট উঁচু শাখা-প্রশাখা যুক্ত উদ্ভিদটির সঠিক বয়স জানা না গেলেও এর বয়স শত বছর বলে ধারণা করা হচ্ছে।
উত্তরবঙ্গে এই উদ্ভিদের অস্তিত্ব আর কোথাও পাওয়া যায়নি বলে দাবি করেছেন দিনাজপুর সরকারি কলেজের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও লেখক দেলোয়ার হোসেন। জনশ্রুতি রয়েছে, কৃষ্ণ রাধাকে এই কেলি কদম ফুল দিয়ে প্রেম নিবেদন করেন। এ ফুলের মাধ্যমেই রাধা কৃষ্ণের প্রেমে পড়েন বলে কথিত আছে। দিনাজপুর সরকারি কলেজের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে, কাস্টল উদ্ভিদটির পাতা কর্ডেট এবং বড় বড় আকৃতির, ফুলটি কদম ফুলের ন্যায় তবে তুলনামূলক খুবই ক্ষুদ্রাকৃতির। বর্ষার শেষের দিকে বা শরৎকালের শুরুতে ফুল ফোটে। ফুলটি কদমের ন্যায় কিন্তু অতিক্ষুদ্র এবং মাধুর্যময়। Rubiaceae গোত্রের উদ্ভিদটির বৈজ্ঞানিক নাম- Adina cordifolia. দিনাজপুর সরকারি কলেজের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও লেখক দেলোয়ার হোসেন জানান, দুর্লভ প্রজাতির এই উদ্ভিদটি এখানে ছাড়া, অত্র অঞ্চলে আর কোথাও থাকার কোনো রেকর্ড এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। ক্যাম্পাসে থাকা গাছটি থেকে বিগত ২০ বছর পর্যবেক্ষণ করেও গাছটি থেকে চারা উৎপাদন করা সম্ভব হয়নি। তিনি আরও জানান, দুর্লভ প্রজাতির উদ্ভিদটি বাংলাদেশের অন্যতম জাতীয় উদ্যান গাজীপুরের মধুপুর শালবনে একটি থাকার তথ্য জানা যায়। হয়তো আরও কয়েকস্থানে থাকতে পারে। তবে এ গাছটি বিলুপ্তির পথে। বিভিন্ন সূত্র মতে উপমহাদেশে উদ্ভিদটি দুর্লভ এবং উত্তরবঙ্গের দিনাজপুর সরকারি কলেজে বিপন্ন উদ্ভিদটির একটি মাত্র বিদ্যমান রয়েছে। ১৯৯৮ সাল থেকে দেখে আসছি।