বৃহস্পতিবার, ৩০ আগস্ট, ২০১৮ ০০:০০ টা
প্রকৃতি

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি দুর্গাপুর

নেত্রকোনা প্রতিনিধি

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি দুর্গাপুর

ভারতের মেঘালয় রাজ্যের পাদদেশে বাংলাদেশের গারো পাহাড়ের উপজেলা দুর্গাপুর। এখানে রয়েছে আদিবাসীসহ বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর বসবাস। দুর্গাপুর প্রকৃত অর্থে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি।

২৭৮ দশমিক ২৮ বর্গ কিলোমিটারের এ উপজেলার বেশির ভাগ জুড়েই রয়েছে সাদা মাটির পাহাড়। আরও রয়েছে সিলিকন বালু ও কয়লাসহ প্রাকৃতিক নানা সম্পদ। পর্যটক আকৃষ্ট করার জন্য রয়েছে শত বছরের পুরনো ক্যাথলিক গির্জাসহ নানান স্থাপনা। শত বছরের পুরনো রানীখং মিশনের ক্যাথলিক গির্জা রয়েছে পাহাড়ের উপরে। দুর্গাপুরের বিভিন্ন ইউনিয়নে রয়েছে সুসং রাজার রাজবাড়ি, টংক আন্দোলন স্মৃতিসৌধ, সাধু যোসেফের ধর্মপল্লী, হাজং মাতা রাশিমণি স্মৃতিসৌধ। রয়েছে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর বিরিশিরি কালচারাল একাডেমি।  নেত্রকোনা শহর থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে বিরিশিরির স্রোতস্বিনী নদী। বর্ষায় এর সৌন্দর্য হয় মুগ্ধ করার মতো। পাহাড় থেকে এর স্বচ্ছ জলরাশি জুড়ে ভেসে আসে কয়লা। এ নদীর পাড়েই শিবগঞ্জ বাজার। এটিই পর্যটকদের সমবেত হওয়ার মূল স্থান। নদীর দুই পাশে রয়েছে দুই ইউনিয়নের প্রায় ১৭ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে সাদা মাটির পাহাড়। ঢাকা থেকে বাস বা ট্রেনযোগে সরাসরি আসা যায় দুর্গাপুরে। রাজধানীর মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে প্রতিদিন অসংখ্য বাস ছেড়ে আসে দুর্গাপুরের উদ্দেশে। এখানকার সমস্যা সম্পর্কে পর্যটকদের ভাষ্য, যাতায়াতের রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ। তাছাড়া আশেপাশে কোনো হোটেল, মোটেল কিংবা গেস্ট হাউস না থাকায় অনেককেই হতাশ হতে হয়। যে কয়টি থাকার ব্যবস্থা রয়েছে তারমধ্যে বিরিশিরি কালচারাল একাডেমির রেস্টহাউস একটি। এর প্রতিটি কক্ষের ভাড়া ৫ থেকে ৭০০ টাকা হলেও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের অবাধ ব্যবহারের জন্য এগুলোতে পর্যটকরা জায়গা পান না।

সর্বশেষ খবর