বৃহস্পতিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা
দুদকে ৬ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ

ফারমার্সের সাবেক এমডিসহ সাতজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

নিজস্ব প্রতিবেদক

ফারমার্স ব্যাংকের সাবেক এমডিসহ ৭ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল ইমিগ্রেশনের বিশেষ পুলিশ সুপারের কাছে পাঠানো অনুসন্ধান কর্মকর্তা ও দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের সই করা চিঠিতে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, দুদক জানতে পেরেছে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা সপরিবারে দেশত্যাগ করে অন্য দেশে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। অভিযুক্তরা হলেন, বেসরকারি এ ব্যাংকটির সাবেক এমডি এ কে এম শামীম, ভাইস প্রেসিডেন্ট  মো. লুতফুল হক, প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট গাজী সালাউদ্দিন, সহকারী ভাইস প্রেসিডেন্ট শফিউদ্দিন আসকারী আহমেদ, নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে সালমা সুলতানা ও সাবেক সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান জিয়া উদ্দিন আহমেদ। গতকাল সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত জিয়া উদ্দিন ছাড়া বাকি ছয় জনকে দুদক প্রধান কার্যালয়ে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করেন অনুসন্ধান কর্মকর্তা সৈয়দ ইকবাল হোসেন। শেষে দুদক ও ব্যাংকটির কর্মকর্তাদের  কেউ সাংবাদিকদের সামনে মুখ খোলেননি। অভিযোগের অনুসন্ধানে গত ৬ মে মো. শাহজাহান ও নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা নামে কথিত দুই ব্যবসায়ীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। সূত্র আরও জানায়, ২০১৬ সালে ফারমার্স ব্যাংকের গুলশান শাখা থেকে ২ কোটি টাকা করে মোট ৪ কোটি টাকা শাহজাহান ও নিরঞ্জন ঋণ নেন। এরপর একই বছরের ১৬ নভেম্বর সেই অর্থ পে-অর্ডারের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ ওই ব্যক্তির ব্যাংক হিসেবে স্থানান্তর করেন। ফারমার্স ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে পে-অর্ডারের মাধ্যমে রাষ্ট্রের এক ‘গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির’ ব্যাংক হিসাবে ৪ কোটি টাকা জমা দেওয়ার বিষয়টির অনুসন্ধানের জন্য ওই দুজনকে তলবের কারণ দেখিয়েছিল দুদক।

দুদকের নোটিসে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ ওই ব্যক্তির নাম উল্লেখ না থাকলেও পদত্যাগী প্রধান বিচারপতি সিনহাই যে সেই ব্যক্তি, সংবাদপত্র ও টেলিভিশনে সে খবর আসে। জিজ্ঞাসাবাদের পর ওই দুজনের আইনজীবী বিচারপতি সিনহার সঙ্গে লেনদেনের কথাই বলেন। তখন তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার কথা জানিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট।

সর্বশেষ খবর