বৃহস্পতিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা
কৃষি

মালচিং পদ্ধতিতে টমেটো চাষ

মালচিং পদ্ধতিতে টমেটো চাষ

দীপংকর ভট্টাচার্য লিটন, শ্রীমঙ্গল মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে মালচিং পদ্ধতিতে টমেটো চাষ। এ পদ্ধতিতে টমেটো চাষে কৃষকের শ্রম ও সময় কম লাগে। খরচও কম হয়। টমেটো শীতকালীন ফসল হলেও চলতি বর্ষা মৌসুমে এ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার আটজন কৃষক এবার মালচিং পদ্ধতিতে বারি-৪ ও ৮ টমেটোর চাষ করেছেন। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কেন্দ্র থেকে বন বেগুনের সঙ্গে গ্রাফটিং করে এই জাত উদ্ভাবন করা হয়। এরই মধ্যে অনেকের গাছে ফুল ছেড়েছে। এক মাসের মধ্যেই ফল আসতে শুরু হবে।

স্থানীয় কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, মালচিং হলো এক ধরনের পলিথিন। যা তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। রোগ-জীবাণু থেকেও গাছকে রক্ষা করে। অতিরিক্ত পানি রোধ করে। গাছের গোড়ায় আগাছা হয় না। এ পদ্ধতিতে টমেটো চাষ করতে হলে প্রথমে জমি তৈরি করে মাটির সঙ্গে প্রয়োজন মতো সার মিশিয়ে বেড তৈরি করতে হবে। বেডের প্রস্থ হবে এক মিটার। এক বেড থেকে আরেক বেডের দূরত্ব ৩০ সেন্টিমিটার। এরপর জমিতে তৈরি করা সবকটি বেড মালচিং পলিথিন দিয়ে ঢেকে দিতে হবে।

পলিথিনের নিচে যাতে পানি প্রবেশ করতে না পারে তাই বেডের চার পাশে পলিথিনের ওপরে ভালোভাবে মাটি চাপা দিতে হবে। বেডে চারা রোপণের জন্য ১৮ ইঞ্চি দূরত্ব রাখতে হবে।  চার ইঞ্চি ব্যাসের পাইপ দিয়ে ছিদ্র করে ওই ছিদ্রে টমেটোর চারা রোপণ করতে হবে। উপজেলার খোয়াশপুর গ্রামের কৃষক মো. নাজিম উদ্দিন বলেন, তিনি এবার প্রথম ১০ শতাংশ জমিতে মালচিং পদ্ধতিতে টমেটোর চাষ করেছেন। স্থানীয় কৃষি অফিসের পরামর্শে জমি তৈরি ও বেড প্রস্তুত করে  চলতি বছরের জুলাই মাসে চারা রোপণ করেছেন। এক মাস পরই গাছে ফুল আসতে শুরু করেছে। গাছের বেড়ে ওঠা দেখে তিনি খুবই আশাবাদী যে, এ পদ্ধতিতে ফলন ভালো হবে। আর ফলন ভালো হলে লাভও হবে বেশি। কারণ অসময়ে টমেটো বাজারে নিলে অধিক দাম পাওয়া যাবে। শ্রীমঙ্গল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিলুফার ইয়াসমিন মোনালিসা সুইটি বলেন, এ উপজেলায় মালচিং পদ্ধতিতে টমেটোর চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এতে কৃষকদের শ্রম, সময় ও অর্থ কম লাগছে। সারা দেশেই কৃষকরা এ পদ্ধতিতে টমেটো চাষ করতে পারবে। বিশেষ করে বৃষ্টিপ্রবণ অঞ্চলের জন্য এ পদ্ধতি খুবই প্রযোজ্য।

সর্বশেষ খবর