মঙ্গলবার, ২৩ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা

আওয়ামী লীগে শিখর, বিএনপিতে হাফ ডজন

রাশেদ খান, মাগুরা

আওয়ামী লীগে শিখর, বিএনপিতে হাফ ডজন

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মাগুরা-১ আসনে দলীয় মনোনয়ন নিশ্চিত করতে ব্যাপক তৎপরতা চালাচ্ছেন বিভিন্ন দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা। এ আসনে আওয়ামী লীগে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা থাকলেও প্রকাশ্যে কোনো গ্রুপিং নেই। অন্যদিকে দলীয় কোন্দল ও বিভক্তিতে জড়িয়ে কাদা ছোড়াছুড়িতে ব্যস্ত বিএনপির হাফ ডজন নেতা। আওয়ামী লীগের বর্তমান সংসদ সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) এ টি এম আবদুল ওয়াহ্হাব। তিনি ডা. এম এস আকবরের মৃত্যুর পর উপনির্বাচনে এমপি নির্বাচিত হন। আগামী নির্বাচনেও তিনি মনোনয়ন চাইবেন। তবে প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব সাইফুজ্জামান শিখর এ আসনের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় প্রার্থী বলে স্থানীয়রা মনে করেন।

বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী প্রায় হাফ ডজন প্রার্থী কেন্দ্রে লবিং চালানোর পাশাপাশি ব্যক্তিগতভাবে মাঠপর্যায়ের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন। তারা হচ্ছেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে প্রার্থী ইকবাল আখতার খান কাফুর, বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও জিয়া পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা কবির মুরাদ, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আখতার হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক আহসান হাবিব কিশোর, যুগ্ম আহ্বায়ক মনোয়ার হোসেন খান ও শ্রীপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান বদরুল আলম হিরো। এ ছাড়া জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন  সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদের উপদেষ্টা হাসান সিরাজ সুজা। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মাওলানা নাজিরুল ইসলাম দলীয় প্রার্থী হবেন। অন্যান্য দলের নেতারাও নির্বাচনকে সামনে রেখে তৎপর রয়েছেন। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ তানজেল হোসেন খান বলেন, ‘আমি সাইফুজ্জামান শিখরকেই যোগ্য প্রার্থী মনে করছি। তার বাবা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মরহুম অ্যাডভোকেট আছাদুজ্জামান এমপি ছিলেন আমার রাজনীতির দীক্ষাগুরু। দেশ ও জেলার মানুষের জন্যে তিনি তার জীবন উৎসর্গ করে গেছেন। শিখরের মধ্যেও সেটি স্পষ্ট। দলের ভিতরে বাইরে তার সর্বজনবিদিত একটি গ্রহণযোগ্যতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। যেটি নির্বাচনে সবচেয়ে প্রধানতম শক্তি হিসেবে কাজ করে। বিএনপির প্রার্থিতার বিষয়ে কবীর মুরাদ বলেন, ‘বিএনপির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এখনো পর্যন্ত নিবিড়ভাবে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সম্পৃক্ত আছি। ১/১১-এর পর দলের চরম দুঃসময়ে আমি আট বছর মাগুরা জেলা বিএনপির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছি। আমি সবসময় বেগম খালেদা জিয়া ও জেলার মানুষের পাশে আছি। জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আখতার হোসেন জানান, বিএনপির নেতা-কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ রয়েছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাগুরা-১ আসনে দল যাকে মনোনয়ন দেবে নেতা-কর্মীরা তার পক্ষেই কাজ করবে। জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক হাসান সিরাজ সুজা বলেন, আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টি এককভাবে নির্বাচন করলে মাগুরা-১ আসনের প্রার্থী হিসেবে আমি একমাত্র প্রার্থী। আমি নেতা-কর্মীদের নিয়ে সাংগঠনিক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছি।’

সর্বশেষ খবর