মঙ্গলবার, ২৩ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় গত ২১ অক্টোবর ‘টাঙ্গাইল আওয়ামী লীগের নির্বাচনী সভা পণ্ড’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন টাঙ্গাইল-২ আসনের এমপি খন্দকার আসাদুজ্জামান। এতে তিনি বলেন, প্রকাশিত সংবাদে প্রকৃত ঘটনা উঠে আসেনি। প্রতিবাদপত্রে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে সংঘটিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার ঘোষিত রায়ে আসামিদের ফাঁসি দ্রুত কার্যকর করা এবং যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি তারেক রহমানের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে গোপালপুরের হেমনগর ডিগ্রি কলেজ মাঠে এক জনসভা আয়োজন করা হয়। ওই জনসভায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনির উপস্থিত থাকার কথা ছিল। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আবদুস সালাম পিন্টুর জন্মস্থানও এই গোপালপুর উপজেলার হেমনগর ইউনিয়নে। এই কারণে সর্বসম্মতিক্রমে জনসভাটি হেমনগর ইউনিয়নে আয়োজন করার সিদ্ধান্ত হয়। ডা. দীপু মনির নির্দেশনায় উল্লিখিত জনসভাটি আয়োজনের তারিখ ও প্রেক্ষাপট টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুক, ওই আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী টাঙ্গাইল জেলার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক তানভীর হাসান ছোট মনি, গোপালপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইউনুস রহমান তালুকদার ঠান্ডু, খন্দকার আশরাফুজ্জামান স্মৃতিসহ জেলা ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে যথারীতি জানানো হয়। ওই সভায় মোজাম্মেল বাবু, মোহাম্মদ এ. আরাফাতসহ সুশীল সমাজের বেশ কয়েকজন প্রতিনিধির উপস্থিত থাকার কথা ছিল। সনাতন হিন্দু ধর্মাম্বলীদের ‘দুর্গাপূজার’ বিজয়া দশমী ১৯ অক্টোবর হওয়ায় ডা. দীপু মনির নির্দেশনায় জনসভার তারিখ এক দিন পিছিয়ে ২০ অক্টোবর শনিবার নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত টাঙ্গাইল জেলার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক তানভীর হাসান ছোট মনি এবং গোপালপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইউনুস রহমান তালুকদার ঠান্ডুর প্রত্যক্ষ মদদে আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে ‘ওই জনসভায় বর্তমান এমপি খন্দকার আসাদুজ্জামানের ছেলে খন্দকার মশিউজ্জামান রোমেলকে একক প্রার্থী ঘোষণা করা হবে’ মর্মে মিথ্যা প্রচারণার মাধ্যমে নারকীয় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সৃষ্টি করা হয়। তাদের অনুসারীগণ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি সংবলিত সব পোস্টার ছিঁড়ে ফেলে তাতে আগুন ধরিয়ে দেয়। একই সঙ্গে তাদের সমর্থিত সন্ত্রাসীরা ভূঞাপুর ও গোপালপুর থানায় নির্মিত সব বিলবোর্ড, তোরণ ভেঙে ফেলে এবং ডা. দীপু মনি ও এমপি খন্দকার আসাদুজ্জামানের ছবিসহ পোস্টার ছিঁড়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। তাদের অনুসারীরা প্রকাশ্যে রামদাসহ লাঠিসোটা নিয়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে এবং হুমকি দেয়। সমগ্র ঘটনাবলি তাত্ক্ষণিকভাবে ডা. দীপু মনিকে জানিয়ে তার নির্দেশে জনসভার কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। তিনি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে অচিরেই সভাটি অনুষ্ঠানের আশ্বাস দেন। ওই জনসভায় একক ব্যক্তিকে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ঘোষণা করার যে মিথ্যা ও অন্যায়মূলক প্রচারণা চালানো হয় তা সবই মিথ্যা, বানোয়াট ও দুরভিসন্ধিমূলক। যারা এই নৈরাজ্য সৃষ্টি করে আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে এবং দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিকে অবহিত করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি।

সর্বশেষ খবর