মঙ্গলবার, ৩০ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা

ইকবালের সঙ্গে খালেদা জিয়া না অন্য কেউ প্রার্থী

দিনাজপুর প্রতিনিধি

ইকবালের সঙ্গে খালেদা জিয়া না অন্য কেউ প্রার্থী

দিনাজপুর-৩ (সদর) আসনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে জনগণের মধ্যে নানা কথাবার্তা হচ্ছে। কোন দল থেকে কে মনোনয়ন পাচ্ছেন তা নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। একই সঙ্গে নেতা-কর্মীদের মধ্যে পাওয়া না পাওয়ার হিসাব-নিকাশও আছে।

দিনাজপুর-৩ আসনে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে প্রার্থী হিসেবে চান তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। তারা মনে করছেন, বেগম খালেদা জিয়া এ আসনে প্রার্থী হলে দলের গ্রুপিং-লবিং কমবে, পাশাপাশি দিনাজপুরের অন্য আসনগুলোয়ও এর প্রভাব পড়বে। তবে খালেদা জিয়া সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় তাঁর প্রার্থিতা নিয়ে অনেকটা অনিশ্চয়তা আছে। এ অবস্থায় কে প্রার্থী হবেন এমন আলোচনা চলছে তৃণমূলে। এক্ষেত্রে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা হলেন— বেগম খালেদা জিয়ার বড়বোন খুরশিদ জাহান হকের বড় ছেলে শাহরিয়ার আকতার হক, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান এবং বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন দুলাল, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক লুত্ফর রহমান মিন্টু ও শিল্পপতি হাফিজুর রহমান।

আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে শক্ত অবস্থানে আছেন জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম। নির্বাচন উপলক্ষে তিনি ব্যাপক গণসংযোগ, সভা-সমাবেশ চালিয়ে যাচ্ছেন। বিভিন্ন স্থানে, সড়কের পাশে, রাস্তার মোড়ে রয়েছে ইকবালুর রহিমের উন্নয়নের বিলবোর্ড ও পোস্টার। এ ছাড়াও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাইবেন            জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফারুকুজ্জামান চৌধুরী মাইকেল ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মির্জা আশফাক। জাতীয় পার্টির দিনাজপুর জেলা সাধারণ সম্পাদক আহমেদ শফি রুবেল এ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশা করেন। গত নবম সংসদ নির্বাচনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের মনোনয়ন পেয়ে প্রার্থী হন জাগপার সভাপতি প্রয়াত শফিউল আলম প্রধান। লক্ষাধিক ভোট পেয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ইকবালুর রহিমের কাছে তিনি পরাজিত হন। এই বিজয় তিনি ধরে রাখেন ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনেও। তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা জানান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার ও হুইপ ইকবালুর রহিমের মধ্যে অপ্রকাশ্য মতবিরোধ আছে। এ আসনে টানা দুবার নৌকার প্রার্থী জয়লাভ করলেও ২০১৫ সালে পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আনোয়ারুল ইসলাম পরাজিত হন। নেতা-কর্মীদের ধারণা, অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে তিনি পরাজিত হয়েছেন। বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম জানান, বিএনপি নির্বাচনের জন্য সব সময় প্রস্তুত। বিএনপির প্রার্থী যেই হোক না কেন ধানের শীষে ভোট দেবে মানুষ। কারণ আওয়ামী লীগের অত্যাচারে আমরা অতিষ্ঠ। তবে আমরা বেগম খালেদা জিয়াকে প্রার্থী হিসেবে চাই।

সর্বশেষ খবর