শুক্রবার, ২৩ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা
ভোটের হাওয়া সারাদেশে

ইভিএম ব্যবহার হলে মামলার হুমকি

ঐক্যফ্রন্টের সেমিনার

নিজস্ব প্রতিবেদক

আসছে জাতীয় নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা থাকতে হবে। কিন্তু ইভিএমের স্বচ্ছতা প্রশ্নবিদ্ধ। সরকার ভোটে জিততে মেকানিক্যাল মেশিনের মাধ্যমে কারসাজি করতে চাইছে। ইভিএম দিয়ে ভোট কারচুপি করার আশঙ্কা আছে এজন্য যন্ত্রটির ব্যবহার রোধে নির্বাচন কমিশনের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে হবে। বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা সংবিধান ও রাষ্ট্রবিরোধী কাজ। আর সংবিধান লঙ্ঘনের জন্য সরকার ও নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। রাজধানীর একটি হোটেলে গতকাল বিকালে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট আয়োজিত ‘ইভিএমকে না বলুন, আপনার ভোটকে সুরক্ষিত করুন’ শীর্ষক এক সেমিনারে ঐক্যফ্রন্টের নেতারা এসব কথা বলেন। ঐক্যফ্রন্টের নেতারা বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন সরকারের আজ্ঞাবহ একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। জনগণের কোনো কথা সরকারের কানে যাচ্ছে না। আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় ফিরে আসার জন্য সব ধরনের অপকৌশল ব্যবহার করছে। আমরা নির্বাচনে যাচ্ছি এবং এবার ব্যালটযুদ্ধে জনগণের রায় প্রতিফলিত হবে। ভোটবিপ্লব হবে।’ অনুষ্ঠানে বেশ কয়েকজন প্রকৌশলী পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেনটেশনের মাধ্যমে ইভিএম ব্যবহারের মাধ্যমে কীভাবে কারসাজি করা সম্ভব তা তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার বক্তব্যে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় ফিরে আসার জন্য সব ধরনের অপকৌশল ব্যবহার করছে। গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা ১০ বছর ধরে নির্যাতন সহ্য করছি। নির্বাচনে যাওয়ার আগে আমাদের অসংখ্য নেতা-কর্মী কারাগারে আটক। আমরা নির্বাচনে যাচ্ছি এবং এবার ব্যালটযুদ্ধে জনগণের রায় প্রতিফলিত হবে। ভোটবিপ্লব হবে। জনগণ এজন্য প্রস্তুতও হয়েছে।’ কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম বলেন, ‘ড. কামালের নেতৃত্বে যখন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন করা হয় তখন প্রথম পর্যায়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। যারা ইভিএম ব্যবহার করতে চায় তারা নিজেরাও এটি দেখেনি এবং ব্যবহার করেনি। নির্বাচন কমিশনকে আমরা বলতে চাই, মানুষ ইভিএম চায় না।’ জাসদের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক আ স ম আবদুর রব বলেন, দেশের সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা সংবিধান ও রাষ্ট্রবিরোধী কাজ। নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘যেহেতু মানুষ ইভিএম নামক যন্ত্রটি তৈরি করেছে, এজন্য এর ফলাফলও মানুষের পক্ষে বদলানো সম্ভব।’ গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের চেষ্টা থাকবে নির্বাচনের মাঠে আমরা শেষ পর্যন্ত থাকব।’ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও ড. আবদুল মঈন খান।

সর্বশেষ খবর