শিরোনাম
শুক্রবার, ২৩ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা
ভোটের হাওয়া সারাদেশে

উন্নয়নের সুফল ঘরে তুলতে নৌকার বৈঠা চান দিদার

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

উন্নয়নের সুফল ঘরে তুলতে চান চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড-পাহাড়তলী) আসনের এমপি দিদারুল আলম। গত ৫ বছরে প্রায় ৬৫০ কোটি টাকার উন্নয়নকাজ করেন তিনি। এ ছাড়াও এলাকায় চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসা রোধে এবং বিএনপি-জামায়াতের পেট্রল বোমা নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে মাঠে থেকেই সক্রিয় ছিলেন তিনি। 

সনাতনী সম্প্রদায়ের সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে পূজা-পার্বণে শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষা ও প্রণোদনায় উদ্যোগী ছিলেন তিনি। আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ বিরোধ ঠেকিয়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তাই দিদারুল আলমকেই চান শুভার্থীরা। সরেজমিন লক্ষ করা গেছে, অন্তত অর্ধশত স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ভবন ৬তলা করণের কাজ উদ্বোধন করেন দিদার এমপি। মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট নির্মাণ উদ্যোগ, উপজেলার বাজারের টেন্ডারকে ঘিরে অপবাণিজ্য রোধ, ভূমি অফিসে দালালি বন্ধ করাসহ নানা উদ্যোগের কারণে সাধারণ মানুষ এমপি দিদারেই বেশ সন্তুষ্ট। সরকারি অর্থায়ন ছাড়াও বনেদি ব্যবসায়ী পরিবারের সন্তান দিদার নিজস্ব অর্থায়নে ছোট দারোগারহাট এলাকায় নিজের বাবা ও চাচার নামে ‘তাহের-মন্জু কলেজ’ প্রতিষ্ঠা করেন। সীতাকুণ্ড হাসপাতালে দিয়েছেন অ্যাম্বুলেন্স। বেসরকারি সহায়তায় থানা পুলিশকে দিয়েছেন পরিবহন। সরেজমিন আরও জানা গেছে, বিগত ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌর নির্বাচনে দলীয় বিভক্তির ফাঁদে পা দেননি এমপি দিদার। বরং দলের প্রার্থীদের বিজয়ী করতে সর্বাত্মক সচেষ্ট ছিলেন। তার সময়কালেই কুমিরা ইউপির নতুন ভবন হয়েছে। উদ্বোধনের অপেক্ষায় আছে ৪১ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত বেড়িবাঁধ। সাড়ে ১৭ কোটি টাকা ব্যয়ে বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের বেড়িবাঁধটির  কাজ চলছে। উদ্বোধনের অপেক্ষায় আছে  পল্লী বিদ্যুৎ অফিস-সংলগ্ন প্রায় ৫ কোটি টাকা ব্যয়ের ভোকেশনাল কলেজ। বিভিন্ন স্কুল-কলেজে ১৮ কোটি  টাকার কাজ হয়েছে। শেখপাড়া রাস্তার কাজের জন্য বরাদ্দ আছে সাড়ে এগারো কোটি টাকা। সীতাকুণ্ডের দুটি বড় প্রকল্প নিয়ে কাজ চলছে। মুরাদপুর ইউনিয়ন ও সৈয়দপুর ইউনিয়নে দুটি সামুদ্রিক বন্দর নির্মাণের কাজ চলছে। এর ফলে  এলাকায় প্রচুর কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। শূন্যের কোটায় নামবে বেকারত্ব। সব মিলিয়ে নিজ এলাকায় এমপি দিদারের বিরুদ্ধে কোনো অসন্তোষ নেই, আছে কেবল সন্তুষ্টি আর আশাবাদ। প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ প্রকল্প শতভাগ বিদ্যুতায়নেও সীতাকুণ্ডে সফলতা পেয়েছেন এই এমপি। সনাতনীরা জানান, শারদীয় দুর্গাপূজা, ঐতিহ্যবাহী শিব চতুর্দশী মেলাসহ সব পূজা-পার্বণে পাশে ছিলেন দিদার এমপি। দলীয় বিভক্তির বাইরে থাকা তরুণরাও এই এমপির ব্যবহারে, উদ্যোগে আপ্লুত। তাই এবারের নির্বাচনে সনাতনী সম্প্রদায় ও নতুন ভোটার আকর্ষণ দিদারুলের পক্ষেই সম্ভব বলে মনে করেন তারা। চট্টগ্রাম-৪ নির্বাচনী  আসন  সীতাকুণ্ড উপজেলা ৯টি ইউনিয়ন ও চট্টগ্রাম শহরের ২টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত। এর মোট ভোটার ৪,০৩,২৭৮ জন। তার মধ্যে সীতাকুণ্ড উপজেলায় ৩,০০,৩১২ জন, চসিক ৯ নং ওয়ার্ডে ৬৪,৮৮৫ জন, ১০ নং উত্তর কাট্টলীর ৩৮,০৮১ জন ভোটার রয়েছেন।  শহর ও গ্রামে উভয় ভাগেই ব্যবসায়িক ও সামাজিক বিস্তৃতির কারণে ভোটের সমীকরণে দিদার ইতিবাচক সুবিধা পাবেন। উপজেলা আওয়ামী লীগ, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের   দলীয় যে কোনো বিভক্তির রেশ না ফেলে উন্নয়নের সুফল ঘরে তুলে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে এমপি দিদারুল অন্য অনেকের মতো আরেকবার সুযোগ চাইতেই পারেন বলে মনে করছেন তার অনুসারীরা। এমপি দিদারুল আলমও নৌকা প্রতীক পেলে বিজয়ে বেশ আশাবাদী। তিনি বলেন, আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে বিশ্বাস নিয়ে গতবার মনোনয়ন দিয়েছিলেন তা অক্ষরে অক্ষরে রক্ষা করেছি। এবার সুযোগ পেলে অসমাপ্ত উন্নয়নকাজ সমাপ্ত করে অধিকতর উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করব।

সর্বশেষ খবর