বৃহস্পতিবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

আহত গয়েশ্বরকে দেখতে গেলেন প্রতিদ্বন্দ্বী বিপু

নিজস্ব প্রতিবেদক

আহত গয়েশ্বরকে দেখতে গেলেন প্রতিদ্বন্দ্বী বিপু

সংঘর্ষে আহত বিএনপির প্রার্থী গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে দেখতে গতকাল রাজধানীর পল্টনে যান তার প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের নসরুল হামিদ বিপু -বাংলাদেশ প্রতিদিন

নির্বাচনী সহিংসতায় আহত ঢাকা-৩ আসনে বিএনপি প্রার্থী গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে গতকাল তার নয়াপল্টনের কার্যালয়ে দেখতে যান আওয়ামী লীগ প্রার্থী বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। এ সময় গয়েশ্বর রায়কে আশ্বস্ত করে বিপু বলেন, ‘যে অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটেছে তার জন্য আমরা লজ্জিত। এ ঘটনায় দায়ীদের অবশ্যই শাস্তি পাওয়া উচিত। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা রাতেই তিনজনকে আটক করেছে। আমরা  এ ধরনের পরিস্থিতি মোটেও প্রশ্রয় দেইনি। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে বলব, তারা যেন সেভাবেই ব্যবস্থা নেয়।’ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়া এলাকায় হামলায় গয়েশ্বর রায়সহ কয়েকজন বিএনপি নেতা-কর্মী আহত হন। গয়েশ্বর রায়কে ‘গুরুজন’ আখ্যায়িত করে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দাদা দীর্ঘদিন এখানে রাজনীতি করছেন। উনি আমার অনেক সিনিয়র এবং আমাদের গুরুজন।’ এ সময় প্রতিমন্ত্রী বিপুর সঙ্গে কেরানীগঞ্জের উপজেলা চেয়ারম্যান শাহিন চৌধুরী ছিলেন। কেরানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুলতান নাসের বলেন, ইটের আঘাতে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের মাথা ফেটে যায় এবং অনেক রক্ত ঝরে। পরে তাকে লাঠি দিয়েও পেটানো হয়। তিনি নিজেও আহত হন। গয়েশ্বর রায়কে রাজধানীর কাকরাইলে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।  

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এ সময় প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে তার দীর্ঘদিনের সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘এই গণতন্ত্রের টানাপড়েনের মধ্যেও বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বড়ভাই-ছোট ভাইয়ের মতো ১০টি বছর আমরা চলেছি। একে অপরের আমন্ত্রণে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গেছি। এই সংস্কৃতিটা আমাদের মধ্যে সচল। পুলিশ প্রশাসন আমার নেতা-কর্মীদের হয়রানি করেছে,  গ্রেফতার করেছে, এটা একটা সাবজেক্ট। কিন্তু ব্যক্তিগত পর্যায়ে কখনো আমাদের কোনো মনোমালিন্য হয়নি।’ হামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যে ঘটনাটা ঘটেছে সেটা আমার গাড়িতে ওঠার আগে। কিছু অতি উৎসাহী ছেলে-পেলে থাকে। কখনো কখনো মিছিলে গোয়েন্দাদেরও লোক থাকে। তারাও কখনো কখনো কোনো ঘটনা ঘটিয়ে দিয়ে একটা নেতিবাচক পরিস্থিতি তৈরি করে। আমি বিশ্বাস করি, বিপু স্বীকার করবে,  যে ছেলের নেতৃত্বে এটা হয়েছে, সে তার দলের লোক। সে তার দলের লোকদের কন্ট্রোল করতে পারছে কি পারছে না সেটা বড় কথা নয়, কারণ সে তো তখন উপস্থিত ছিল না।’ হামলাকারীদের থামানোর চেষ্টা করেও কোনো কাজ হয়নি বলে জানান তিনি। তার খোঁজ নেওয়ায় নসরুল হামিদকে ধন্যবাদ জানান গয়েশ্বর রায়।এ ঘটনায় মামলার পথে হাঁটবেন না জানিয়ে গয়েশ্বর বলেন, ‘আমি এর বিচারও চাই না। যারা করছে তারা অবুঝ। তার দলের লোক আবেগে যা কিছু করেছে সেটা তার দলীয় ব্যাপার। কখনো কাউকে মামলা-মোকাদ্দমা দেওয়ার মধ্যে আমি কখনো ছিলাম না, এখনো নেই। রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় এর মীমাংসা হবে।

সর্বশেষ খবর