শিরোনাম
সোমবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

ইভিএমে ভোট দিয়ে খুশি ভোটাররা

শফিকুল ইসলাম সোহাগ

ইভিএম ভোটকেন্দ্র্রগুলোতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট দিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন ভোটাররা। ঢাকার দুটি আসনসহ ছয়টি আসনে ইভিএমে ভোট গ্রহণ হয়েছে। ভোটাররা বলছেন, এটি প্রযুক্তিবান্ধব। এই যন্ত্রে ভোট হয়েছে ঝামেলাবিহীন। ইভিএম ভোটকেন্দ্রগুলোর নিরাপত্তায় ছিলেন সেনাসদস্যরা। পাশাপাশি অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও মোতায়েন ছিলেন। আসনগুলো হচ্ছে রংপুর-৩, খুলনা-২, সাতক্ষীরা-২, ঢাকা-৬, ঢাকা-১৩ ও চট্টগ্রাম-৯। এসব আসনে মোট প্রার্থী ছিলেন ৪৮ জন। আর ভোটারসংখ্যা ২১ লাখ ২৪ হাজার ৫৫৪ জন। আসনগুলোতে ভোটকেন্দ্র ছিল ৮৪৫টি ও ভোটকক্ষ ৫ হাজার ৪৫টি।

ঢাকার আসন দুটি হলো মোহাম্মদপুর, আদাবর ও শেরেবাংলানগর থানার একাংশ নিয়ে গঠিত ঢাকা-১৩ আসন এবং ওয়ারী, গেন্ডারিয়া, সূত্রাপুর ও কোতোয়ালি এবং বংশালের একাংশ নিয়ে গঠিত ঢাকা-৬ আসন। ইভিএম ভোটকেন্দ্র ঢাকা-১৩ আসনের ৯৬ নম্বর গ্রিনউড স্কুলের কেন্দ্রটি পুরুষ কেন্দ্র। এখানকার প্রিসাইডিং অফিসার উজ্জ্বল সাহা বাংলা বলেন, সকাল থেকে শেষ পর্যন্ত সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণ হয়েছে। নিরাপত্তাব্যবস্থাও ছিল ভালো। তিনি ইভিএমের পুরো সেটআপে সন্তোষ প্রকাশ করেন। এই কেন্দ্রের ভোটার শাহজাদা ইভিএমে ভোট দিয়ে বেরিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, আগের চেয়ে ভোট দেওয়া সহজ হয়েছে। এতে লম্বা লাইনে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়ানোর ঝামেলা নেই। অল্প সময়ে ভোট দেওয়া হয়ে যায়। রেসিডেনশিয়াল মডেল কলেজের প্রিসাইডিং অফিসার নায়েব আলী শরিফ বলেন, এ কেন্দ্রে মোট ভোট ৩২১৪। সত্তরোর্ধ্ব নারী ময়মুন্নেসা বলেন, এই পদ্ধতি ভালো। পঞ্চাশোর্ধ্ব আরেক নারী ভোটার জাহানারা বলেন, আগের ভোটের তুলনায় এটিই ভালো সিস্টেম। এই কেন্দ্রের একজন সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার বলেন, যে ভোটারের প্রথমবারই ফিঙ্গারপ্রিন্ট মেলে, তার ইভিএমে ভোট দিতে ৪৫-৫০ সেকেন্ড লাগে।

চট্টগ্রাম-৯ আসনে ইভিএম ভোটকেন্দ্রে উৎসাহের সঙ্গে ছিল ভোগান্তি। চট্টগ্রাম নগরীর একটি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমবিএর শিক্ষার্থী হোসাইন আসিফ মাহমুদ। চট্টগ্রাম-৯ আসনের জামালখান ২১ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার তিনি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন তিনি। গতকাল দুপুরে ন্যাশনাল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট দিতে আসেন আসিফ। প্রথমবারের মতো জাতীয় নির্বাচনে ভোট দিতে এসে উৎসাহের কমতি ছিল না তার। এ আসনে প্রথমবারের মতো ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট হওয়ায় তার উৎসাহ বেড়ে যায় কয়েকগুণ। শুধু আসিফ নয়, ইভিএম নিয়ে আগ্রহের কমতি ছিল না চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালি) আসনের ভোটারদের সিংহভাগের। তবে নানা জটিলতার কারণে কিছু কেন্দ্রে ভোগান্তিতে পড়তে হয় ভোটারদের। বাংলাদেশ মহিলা সমিতি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন বলেন, সকাল থেকেই কেন্দ্রে ভোটারদের ঢল নামে। ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট হওয়ায় কারও মধ্যে উৎসাহের কমতি ছিল না। দুপুর ২টার মধ্যেই এ কেন্দ্রের ২ হাজার ৮৪০ ভোটের মধ্যে ৭০ শতাংশ কাস্ট হয়।

সাতক্ষীরা-২ আসনে ইভিএম ব্যবহারে তরুণদের আগ্রহ থাকলেও দ্বিধায় বয়স্ক-নারীরা। তরুণ ও শিক্ষিত ভোটাররা ইভিএমে স্বাভাবিকভাবে ভোট দিতে পারলেও অপেক্ষাকৃত বয়স্ক ব্যক্তি ও নারী ভোটারদের মধ্যে ইভিএমে ভোট প্রদানে সময় লেগেছে। অধিকাংশ বয়স্ক ভোটার বলেছেন, ইভিএম সম্পর্কে তাদের ধারণা নেই। খুলনা-২ ও রংপুর-৩ আসনের ভোটারদের অধিকাংশই এভিএমে ভোট দিতে গিয়ে খুশি। তবে বেশ কিছু কেন্দ্রে অনিয়মের অভিযোগ করেছেন ভোটাররা।

সর্বশেষ খবর