শিরোনাম
রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা
পর্দা নামল বসুন্ধরার দুই মেলার

ক্রেতা-দর্শনার্থীতে খুশি আয়োজকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

ক্রেতা-দর্শনার্থীতে খুশি আয়োজকরা

ব্যাপক দর্শকসমাগমের মধ্য দিয়ে শেষ হলো রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরা-আইসিসিবির পুষ্পগুচ্ছ হলে তিন দিনব্যাপী অষ্টম এশিয়ান ট্যুরিজম ফেয়ার। একই সঙ্গে পর্দা নামল প্রিন্টিং খাতের তৃতীয় আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীর। ২৬ সেপ্টেম্বর আইসিসিবির পুষ্পগুচ্ছ ও নবরাত্রি হলে মেলা দুটি শুরু হয়। মেলায় দর্শকসমাগমে সন্তুষ্ট অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। গতকাল শেষ দিনের বৃষ্টিভেজা বিকালেও পর্যটন মেলা ছিল লোকারণ্য। ভ্রমণ প্যাকেজ, হোটেল-রিসোর্ট বুকিং, এয়ার টিকিট, ভিসা প্রসেসসহ পর্যটনশিল্পের বিভিন্ন পণ্যে ছাড় পেতে ছুটে আসেন অসংখ্য ভ্রমণপিপাসু মানুষ। শেষ বিকালে মেলায় গিয়ে দেখা যায় প্রতিটি স্টলেই ক্রেতা-দর্শনার্থীর ভিড়। ক্রেতার চাহিদার কারণে মেলা শেষ হলেও বিভিন্ন অফার ও ছাড়ের মেয়াদ বাড়িয়েছে অনেক প্রতিষ্ঠান। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের স্টল থেকে জানানো হয়, মেলায় তারা ব্যাপক সাড়া পেয়েছেন। তিন দিনে তারা প্রায় ৫০ লাখ টাকার টিকিট বিক্রি করেছেন। মেলা উপলক্ষে রাষ্ট্রীয় বিমান সংস্থাটি অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটে ১০% ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে ২০% ছাড় দিয়েছিল। কক্সবাজারের প্রাসাদ প্যারাডাইজ হোটেলের বিক্রয় ও বিপণন প্রতিনিধি আবদুল্লাহ আল সায়েম বলেন, মেলা উপলক্ষে তাদের হোটেলে কক্ষ বুকিংয়ের ওপর ২৫% ছাড় ছিল। তিন দিনে তাদের প্রায় ২ হাজার কক্ষ বুকিং হয়েছে। এদিকে কক্সবাজারের রয়েল টিউলিপ হোটেল মেলায় কক্ষ বুকিংয়ে ৫৩% ছাড় দিয়েছিল। হোটেলটির ডিজিটাল মার্কেটিং অ্যান্ড সেলস ম্যানেজার আসাদুর রহমান বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্যমাত্রা দ্বিতীয় দিনেই পূরণ হয়েছে।’ হ্যালো ভিসা প্রসেস অ্যান্ড ট্যুরসের স্বত্বাধিকারী খালেদা আহমেদ ভূইয়া বলেন, ‘তিন দিনে আমাদের প্রায় ৩০০ ভ্রমণ প্যাকেজ বুকিং হয়েছে। এ ছাড়া ৮ শতাধিক ভিসা প্রসেসের কাজ পেয়েছি। আমরা ভিসা প্রসেসে ৫০%, এয়ার টিকিটে ৫% ও ভারতে চিকিৎসায় ২০% ছাড় দিয়েছিলাম। চাহিদার কারণে আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত অফারের মেয়াদ বাড়িয়েছি।’ পশ্চিমবঙ্গের পায়েল গ্রুপ অব হোটেল অ্যান্ড ট্যুরিজমের অপারেশন অ্যান্ড সেলস ম্যানেজার হিমাদ্রী বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য পূরণ হয়ে গেছে। এ ছাড়া সুশৃঙ্খল আয়োজন আর এখানকার মানুষের আতিথেয়তায় আমরা মুগ্ধ।’ মেলায় বাংলাদেশসহ এশিয়ার আটটি দেশের প্রায় দেড় শ প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। পর্যটন মেলার সঙ্গে সঙ্গে শেষ হয় নবরাত্রি হলে তিন দিনব্যাপী স্ক্রিন প্রিন্টিং, টেক্সটাইল প্রিন্টিং, ডিজিটাল প্রিন্টিং, সাবলিমেশন প্রিন্টিং ও সাইনেজ ইন্ডাস্ট্রির তৃতীয় আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীটিও।

সর্বশেষ খবর