সংবাদপত্র শিল্পের উন্নয়ন এবং এ শিল্পের সংকট সমাধানে এফবিসিসিআইর কাছে সহযোগিতা চাইলেন সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নোয়াব। গতকাল এফবিসিসিআইর সঙ্গে অনুষ্ঠিত নোয়াবের বৈঠকে সহযোগিতার এ আহ্বান জানানো হয়। এফবিসিসিআই কার্যালয়ে বৈঠকে এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ   ফজলে ফাহিম, নোয়াব সভাপতি প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানসহ উভয় সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে নোয়াব সভাপতি মতিউর রহমান বলেন, নতুন ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়নের কারণে সংবাদপত্র শিল্প চাপের মধ্যে পড়েছে। এ শিল্পের আয় বাড়ানো, করপোরেট ট্যাক্স কমিয়ে ১০% করাসহ শিল্পের উন্নয়নের জন্য সরকারের সঙ্গে নোয়াবের যোগাযোগ বৃদ্ধির সুযোগ তৈরি করে দেওয়ার আহ্বান জানান নোয়াব সভাপতি। সরকার যাতে এ শিল্পকে বন্ধু হিসেবে ভাবে সেই প্রত্যাশা করেন নোয়াব নেতারা। এ সময় নোয়াব সভাপতি বলেন, বর্তমানে সংবাদপত্র শিল্প অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে কঠিন সময় পার করছে। এটি সেবা শিল্প হওয়া সত্ত্বেও এর করপোরেট ট্যাক্স ৩৫%, যা এ শিল্পের অগ্রগতিতে বড় বাধা। এ অবস্থায় টিকে থাকতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে এ শিল্পকে। অধিকাংশ সংবাদপত্রই ভর্তুকি দিয়ে চালাতে হচ্ছে বলেও জানান নোয়াব সভাপতি। এ সময় সরকার-ঘোষিত নবম ওয়েজ বোর্ড নিয়েও আলোচনা হয়। এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম বলেন, সরকারের সঙ্গে সংবাদপত্র শিল্পের কোনো মালিকের যদি দূরত্ব থাকে, সেটি এফবিসিসিআইর ম্যান্ডেট-বহির্ভূত। যেহেতু ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়নের প্রক্রিয়ার শুরু থেকে এফবিসিসিআইর সম্পৃক্ততা ছিল না, তাই এ বিষয়টির করণীয় মূল্যায়ন করা যেতে পারে। তবে এ শিল্পের অর্থনৈতিক স্বার্থে, যেমন ভ্যালু চেইনের কাঠামো ইত্যাদি বিষয় নোয়াবের সঙ্গে মিলে পর্যালোচনা করা যেতে পারে। বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইর সহসভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান, মিসেস হাসিনা নেওয়াজ ও দিলীপ কুমার আগারওয়ালা, পরিচালক মুনির হোসেন, নোয়াব নেতা সমকাল প্রকাশক এ কে আজাদ, ডেইলি স্টার সম্পাদক ও প্রকাশক মাহফুজ আনাম, মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, সংবাদ সম্পাদক ও প্রকাশক আলতামাশ কবির, ভোরের কাগজের মুদ্রাকর তারিক সুজাত এবং বণিক বার্তার সম্পাদক ও প্রকাশক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ।