রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

জলদস্যু বাহিনীর ৯৬ সদস্যের আত্মসমর্পণ

কক্সবাজার প্রতিনিধি

কক্সবাজারের মহেশখালী, পেকুয়া, চকরিয়া ও কুতুবদিয়ার ১২ জলদস্যু বাহিনীর দুর্ধর্ষ ৯৬ জন জলদস্যু, অস্ত্রের কারিগর ও সন্ত্রাসী স্বাভাবিক জীবনে ফেরার আশায় আত্মসমর্পণ করেছে। একই সঙ্গে তারা দেশি-বিদেশি ১৫৫টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ২৮৪ রাউন্ড গুলি ও অস্ত্র তৈরির বিভিন্ন প্রকার সরঞ্জামাদি জমা দিয়েছে। গতকাল বেলা ১১টায় মহেশখালী উপজেলার পাহাড়ি ইউনিয়ন কালারমারছড়া ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের কাছে তারা আত্মসমর্পণ করে। এরপর অতীত কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত এই জলদস্যুরা পরিবার-পরিজন নিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার শপথ নেয়। মন্ত্রী তাদের পুনর্বাসনের জন্য তাৎক্ষণিক জনপ্রতি ৫০ হাজার করে টাকা প্রদান করেন। আত্মসমর্পণকারী ১২  দস্যুবাহিনীর মধ্যে জলদস্যু ও অস্ত্রের কারিগর আয়ুব বাহিনীর প্রধান আয়ুবসহ ১২ জন, আবদুল করিম বদিয়া বাহিনীর প্রধান আবদুল করিম বদিয়া, গুরা কালু বাহিনীর প্রধান মোহাম্মদ কালু, হামিদ বাহিনীর প্রধান মো. আবদুল হামিদ, কালা জাহাঙ্গীর বাহিনীর প্রধান মো. কালা জাহাঙ্গীর, জিয়া বাহিনীর প্রধান জিয়াউর রহমান, করিম বাহিনীর প্রধান মাহমুদুল করিম, সিরাজ বাহিনীর প্রধান সিরাজ-দৌলা চৌধুরী, স্বপন বাহিনীর  প্রধান মান্নান দে স্বপন, মিন্টু বাহিনীর প্রধান আবদুল্লাহ মিন্টু, সিকদার বাহিনীর ২ জন, সোনাদিয়ার আন্জু বাহিনীর ১ জন, জুনায়েত বাহিনীর ২ জন, কালা জাহাঙ্গীর বাহিনীর ১ জন, অস্ত্রের কারিগর ৯ জন, কলাবাদা বাহিনীর ২ জন, স্বপন বাহিনীর ১ জন, জিয়া বাহিনীর ২ জন, গুরা কালু বাহিনীর ১ জন, অন্যান্যসহ ১২ বাহিনীর ৯৬ জন ১৩টি ৩০৩ রাইফেল, ১টি দোলনা বন্দুক, ১৪১টি একনলা বন্দুক, ২৮টি ৩০৩ রাইফেলের গুলি, ২৫৫টি কার্তুজ ও অস্ত্র তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম জমা দেয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, আত্মসমর্পণকারীদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তবে তারা আগের কাজে ফিরে গেলে কঠোর পরিণতি হবে। কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেনের সভাপতিত্বে পুলিশ লাইন মসজিদের পেশ ইমাম এএসআই আবদুল মন্নানের কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানের গেস্ট অব অনার পুলিশের আইজি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, মহেশখালী-কুতুবদিয়ার সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, কক্সবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য জাফর আলম, কক্সবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য সাইমুন সরওয়ার কমল, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক, কক্সবাজার জেলার ভারপ্রাপ্ত প্রশাসক আশরাফুল আফসারন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তাফা প্রমুখ।

সর্বশেষ খবর