শুক্রবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

৯০ কিলোমিটার জুড়ে যানজট

নাটোর প্রতিনিধি

সড়ক সংস্কার কাজ ও ঘন কুয়াশার কারণে নাটোরের বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কে ৯০ কিলোমিটারজুড়ে ভয়াবহ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে যানজটে হাজার হাজার যাত্রীবাহী বাস, ট্রাক ও মাইক্রোবাস আটকা রয়েছে। গতকাল বিকাল ৩টা পর্যন্ত হাজার হাজার যানবাহন যানজটে আটকা থাকতে দেখা যায়। মঙ্গলবার রাত থেকে এ যানজট শুরু হয়। ১২-১৪ ঘণ্টা যানজটে আটকা পড়ে গন্তব্যে পৌঁছতে পারেননি অনেকেই।

হাইওয়ে পুলিশ ও যানজটে আটকা পড়া যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কের  তাড়াশ উপজেলার হামকুড়িয়া ও মান্নাননগর এলাকায় চলছে সংস্কারকাজ। এ জন্য ধীরগতিতে চলছে গাড়ি। সেই সঙ্গে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের রায়গঞ্জের ভূইয়াগাতিতে একটি সেতুর পাটাতন ভেঙে দেবে গেছে। ফলে এই মহাসড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ জন্য রাত থেকে বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কে ভয়াবহ আকার ধারণ করে যানজট। এতে হাজার হাজার যানবাহন যানজটে আটকা পড়েছে। যাত্রীরা জানিয়েছেন, পুরো মহাসড়কজুড়ে যানজট। বুধবার রাত ১২টায় বাসে ওঠা যাত্রীরা এখনো গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেননি। তীব্র শীতে বিপাকে পড়েছেন সবাই। থেমে থেমে চলছে গাড়ি। নাটোর জেলা ট্রাফিক পুলিশের সার্জন মো. মশিউর রহমান বলেন, বনপাড়া-হাটিকুমরুল সড়ক দিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১৬ জেলার পরিবহন চলাচল করে। সড়কের সংস্কার কাজের জন্য বেশ কিছু দিন ধরে যানজটের মধ্যেই পরিবহন চলাচল করত। কিন্তু বগুড়া-ঢাকা মহাসড়কের ভূইয়াগাতিতে ব্রিজ দেবে যাওয়ার কারণে রংপুর, পঞ্চগড়, দিনাজপুর ও ঠাকুরগাঁওসহ উত্তরের ১৬ জেলার সব পরিবহন নাটোর ঘুরে এই মহাসড়ক দিয়ে চলাচল শুরু করেছে। এ কারণে যানজট পরিস্থিতি বেসামাল হয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি নিরসনে পুলিশকে বেগ পেতে হচ্ছে। কয়েকজন বাসযাত্রী জানিয়েছেন, নাটোর যাওয়ার উদ্দেশ্যে বুধবার রাত ১০টায় পঞ্চগড় থেকে গাড়িতে ওঠেন তারা। মাঝ রাতে বগুড়া ছেড়ে ভূইয়াগাতি পর্যন্ত বাসটি এসেছিল। কিন্তু সেখানকার ব্রিজটি দেবে যাওয়ায় প্রায় ১৫০ কিলোমিটার ঘুরপথে নাটোর হয়ে গুরুদাসপুর উপজেলার হাজিরহাটে আটকে পড়েছেন। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা একই স্থানে আটকে রয়েছেন তারা। রংপুর থেকে নাটোর আসা বাসযাত্রী জামিল হোসেন বলেন, শীতের মধ্যে প্রায় ১৬ ঘণ্টা রাস্তায় আটকে আছি। চালকরা জানিয়েছেন, তারা বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত সহজে এলেও সেতুতে এপাশে এসে যানজটে আটকে পড়েন। টানা ছয়-সাত ঘণ্টা দুর্ভোগ শেষে গুরুদাসপুরে পৌঁছান। সেতু থেকে হাজিরপুর পর্যন্ত হাজার হাজার গাড়ি সড়কের উভয় পাশে লাইন ধরে আটক রয়েছে। যানজন নিরসনে পুলিশের তেমন কোনো ভূমিকা নেই।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর