শনিবার, ৪ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

ফের বাড়ছে পিয়াজের দাম সবজিতেও স্বস্তি নেই

বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বেড়েছে পিয়াজের দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক

ফের বাড়ছে পিয়াজের দাম সবজিতেও স্বস্তি নেই

বাজার দর

ফের বাড়ছে পিয়াজের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে ৪০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি পিয়াজ বিক্রি হয়েছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা। সবজিতেও স্বস্তি নেই। বৃষ্টির কারণে গতকাল সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ক্রেতাদের উপস্থিতি কম থাকলেও, দাম বেড়েছে শাক সবজির। যদিও বাজারে শীতের সবজি ভরপুর।

গতকাল রাজধানীর কারওয়ানবাজার, রামপুরা, মালিবাগ হাজীপাড়া, খিলগাঁও, নিউমার্কেট, জিগাতলা, রায়ের বাজার, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ব্যবসায়ীদের বৈঠকের ২৪ ঘণ্টা পার হওয়ার আগেই আবারও বেড়েছে পিয়াজের দাম। ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজি দরের দেশি পিয়াজ গতকাল বিভিন্ন বাজারে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। দাম বাড়ানোর পেছনে  ব্যবসায়ীদের অজুহাত, কৃষকরা বেশি দামের আশায় আগেভাগে পিয়াজ তুলে ফেলায় দেশি মুড়িকাটা পিয়াজের সরবরাহ কম, তাই দাম বেড়েছে। রাজধানীর কাঁচা বাজারগুলো ঘুরে দেখা যায়, দেশি পিয়াজের দাম বাড়লেও, আগের দরে বিক্রি হচ্ছে চীন ও তুরস্কের পিয়াজ। বাড়তি দাম প্রসঙ্গে কারওয়ান বাজারের আড়তদার আলাউদ্দিন আলী বলেন, ভারত থেকে পিয়াজ না আসা পর্যন্ত দাম কমবে না। আমরা ভেবেছিলাম, নতুন পিয়াজ বাজারে উঠলে দাম কিছুটা কমবে। কিন্তু আবহাওয়া ও নানা সমস্যার কারণে পিয়াজের দাম কোনোভাবেই কমছে না। গতকাল কাঁচা বাজারে সবজির দাম গত সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা বাড়তি দেখা যায়। কারওয়ান বাজারে প্রতি কেজি করলা খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা, শিম ৩০, মুলা ২০, বেগুন ৪০, বরবটি ৫০, ধুন্দল ৫০, নতুন আলু ২৫-২৮, পেঁপে ২০ টাকা, গাজর ৩০, শসা ৩০-৪০, কাঁচামরিচ ৫০, টমেটো ৩০-৪০ টাকা ও শালগম ৩০ টাকা। প্রতি পিস ফুলকপি ৩৫-৪০ টাকা, বাঁধাকপি ৩০ এবং মিষ্টি কুমড়া (ছোট) ৪০, লাউ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। বিভিন্ন শাক বিক্রি হচ্ছে পাঁচ থেকে ১৫ টাকা আঁটি দরে। সবজি কিনতে আসা গৃহিণী শামসুন্নাহার বলেন, আর কতদিন এত টাকা দিয়ে কাঁচা বাজার কিনতে হবে? নতুন বছরেও দাম কমার নাম নেই। বাজার করতে এলেই দাম শুনে অস্বস্তি লাগে। মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি আইড় ৮০০ টাকা, বোয়াল ৬০০, বাইম ৮০০, বাচা ৪০০, পুঁটি ৩৩০, ছোট রূপচাঁদা ৪০০, পোয়া ৬০০, বেলে ৮০০, কোরাল ৫৫০, লইট্টা ২০০, পাবদা ৫০০, মলা ৪০০, কাঁচকি ৬০০, টেংরা ৫০০, মিনি ৫০০ ও পাঁচমিশালি মাছ প্রতি কেজি ৩০০ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। আকার ভেদে প্রতি কেজি চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা। প্রতি কেজি খাসির মাংস ৯০০ টাকা, ছাগলের মাংস ৮০০ টাকা ও গরুর মাংস ৫৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহের তুলনায় ৫০ টাকা করে বেড়েছে খাসি ও ছাগলের মাংসের দাম। মাংস বিক্রেতারা বলছেন, সরবরাহ কম, চাহিদা বেশি। তাই দামটাও বেশি। এদিকে, পাকিস্তানি মুরগি ২৪০ টাকা, দেশি মুরগি ৪৫০ টাকা কেজি, ব্রয়লার ১৩০ টাকা ও দেশি হাঁস ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা বলছেন, বৈরী আবহাওয়া, যোগাযোগ সমস্যা ও সরবরাহ কম থাকায় এসব পণ্যের দাম বাড়তি।

সর্বশেষ খবর