মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

শেষ হলো জাতীয় কবিতা উৎসব

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

মানববন্দনা, স্বপ্ন, সংগ্রাম আর ভালোবাসার কথামালার জাতীয় কবিতা উৎসব-২০২০ শেষ হলো। গতকাল উৎসবের শেষ দিনে সম্মাননা জানানো হয় তিন ভাষা-সংগ্রামীসহ চার কবিকে। এছাড়াও প্রদান করা হয় ‘জাতীয় কবিতা উৎসব পুরস্কার-২০২০’। দুই দিনব্যাপী এই উৎসবে দেশের বিশিষ্ট কবি-সাহিত্যিকদের পাশাপাশি অংশ নেন উল্লেখযোগ্য সংখ্যক  বিদেশি কবি ও সাহিত্যিকও। অংশ নেন দেশের প্রান্তিক অঞ্চলের কবিরাও। সবার অংশগ্রহণে কবি আর কবিতাপ্রেমীদের মিলন উৎসবে পরিণত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাকিম চত্বর।

উৎসবের দ্বিতীয় দিনের শুরুতে ‘কবিতায় বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। কবি কামাল চৌধুরীর সভাপতিত্বে এতে অংশ নেন আনিসুল হক, বিশ্বজিৎ ঘোষ, হাসান আরিফসহ দেশের বিশিষ্ট কবি-সাহ্যিত্যিক। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কাজল বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে ‘শৃঙ্খল মুক্তির জন্য কবিতা’ শীর্ষক আরেকটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজীর সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য দেন মুফিদুল হক, মুনির সিরাজ ও আমিনুর রহমানসহ বিদেশ থেকে আগত কবিগণ। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নাসিরউদ্দীন ইউসুফ।

দিনব্যাপী বেশ কয়েকটি পর্বে চলে কবিতা ও ছড়া পাঠ। এসব পর্বে সভাপতিত্ব করেন কবি নির্মলেন্দু গুণ, রামেন্দ্র মজুমদার, কাজী রোজী, আসলাম সানী, ফারুক মাহমুদ ও অসীম সাহা প্রমুখ।

পরে তিনজন ভাষা-সংগ্রামী প্রবীণ কবিকে ‘জাতীয় কবিতা পরিষদ সম্মাননা’ প্রদান করা হয়। সম্মাননাপ্রাপ্ত কবিরা হলেন কবি আহমদ রফিক, গীতি-কবি আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী ও কবি বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর। এছাড়াও কবি নুরুল হুদাকে প্রদান করা হয় ‘জাতীয় কবিতা উৎসব পুরস্কার-২০২০’।

দিনব্যাপী আয়োজনে মানবিক ও অসাম্প্রদায়িক সমাজ গঠনে কবি ও কবিতার ভূমিকার কথা তুলে ধরেন অংশগ্রহণকারী কবি ও বিশিষ্টজনরা।

জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) কবি মুহাম্মদ সামাদ বলেন, এবারের উৎসবের মর্মবাণী নির্ধারণ করা হয়েছে ‘শেখ মুজিব আমার অমর কাব্যের কবি’। আমারই একটি কবিতার লাইন, এই উৎসবের মর্মবাণী হওয়ায় আমি গর্ব বোধ করছি। পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তারিক সুজাত বলেন, এই মুজিববর্ষ হবে কবিতাবর্ষ। জাতীয় কবিতা উৎসবের এই আয়োজনের মধ্য দিয়ে এর যাত্রা আমরা শুরু করলাম।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর