বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য, ভাইরাস বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম বলেছেন, ঈদ উপলক্ষে পশুর হাটে জনসমাগম হচ্ছে, গ্রামে পরিবহনে গাদাগাদি করে যাচ্ছে মানুষ। করোনাভাইরাস মহামারী থেকে বাঁচতে সামাজিক দূরত্ব মানার বিকল্প নেই। গ্রামে গিয়ে করোনার বীজ বপন করে আসা যাবে না। গরু জবাই থেকে সার্বিক কাজ দূরত্ব বজায় রেখে করতে হবে। গতকাল তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, গরুর হাটগুলোয় সামাজিক দূরত্ব মানা হচ্ছে না। নেই হাত ধোয়া কিংবা স্যানিটাইজ করার ব্যবস্থা। অনেকে মাস্কও পরছেন না। এতে সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। গণপরিবহন চালুর পর তবু মানুষ কিছুটা দূরত্ব মেনে চলাফেরা করছিল। কিন্তু এখন পরিবহনে দূরত্ব মেনে চলতে দেখা যাচ্ছে না। রাজধানীতে শুরু থেকেই আক্রান্ত বেশি। এভাবে গাদাগাদি করে গিয়ে গ্রামেও করোনার বীজ বপন করে আসবে। এটা দৃশ্যমান হবে ঈদের ১৫ দিন পর থেকে। অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম আরও বলেন, গত ঈদে এভাবে বাড়ি গিয়ে সারা দেশে আক্রান্ত ছড়িয়ে পড়েছে। ঈদের আগে ৫৬ শতাংশ আক্রান্ত ছিল রাজধানীতে, ঢাকা বিভাগে ছিল ৮৫ শতাংশ। ঈদের পর রাজধানীর বাইরে আক্রান্ত বাড়তে থাকে। এ ঈদেও একই ঘটনা ঘটবে। তাই পরিবার, আত্মীয়স্বজনের সুরক্ষা চাইলে না যাওয়াই উত্তম। যারা তবু যাচ্ছেন তাদের অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাফেরা করতে হবে।