বুধবার, ২৬ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা
চট্টগ্রামে মা ছেলে খুন

পাতানো ভাইকে খুঁজছে পুলিশ

এক নম্বর আসামি করে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে নির্মমভাবে মা-ছেলে খুনের ঘটনায় সন্দেহের তীর সেই পাতানো ভাই ফারুকের দিকে। খুনের পর থেকে ফারুক পলাতক থাকায় তার প্রতিই সন্দেহ ঘনীভূত হচ্ছে। এদিকে ফারুককে এক নম্বর ও অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে সোমবার রাতে চান্দগাঁও থানায় মেয়ে ময়ূরী মামলা করেছেন। অভিযুক্ত ফারুক বহদ্দারহাট খাজা রোডের বাসিন্দা এবং ওই এলাকায় একটি দোকান পরিচালনা করেন। হত্যাকা-ের রহস্য চিহ্নিত করতে প্রশাসনের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা মাঠে কাজ করছেন বলে জানা গেছে। গত সোমবার রাতে চট্টগ্রাম মহানগরের চান্দগাঁও থানার পুরাতন চান্দগাঁও রমজান আলী সেরেস্তাদারের বাড়ি এলাকার একটি বাসা থেকে মা গুলনাহার বেগম (৩৩) ও তার ছেলে রিফাত (৯)-এর গলা কাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। গুলনাহার মেয়ে ময়ূরী ও রিফাতকে নিয়ে বসবাস করতেন। তার স্বামী আরেকটি বিয়ে করে দ্বিতীয় স্ত্রীসহ নোয়াখালীতে বসবাস করেন। পুলিশ, পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গুলনাহার বেগম ছিলেন স্বামীপরিত্যক্তা। ১৬ বছরের মেয়ে ও নয় বছরের ছেলেকে নিয়ে ওই এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।

ফারুক নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে পাতানো ভাই-বোনের সম্পর্ক ছিল তার। এ ভাইয়ের মাধ্যমে শিঙ্গাড়া, পিঠা-পুলি বিক্রি ও মেয়ের গার্মেন্টে চাকরির বেতন দিয়ে তাদের সংসার চলত। কিন্তু টাকাপয়সা ও পারিবারিক নানা বিষয় নিয়ে ফারুকের সঙ্গে ঝগড়াবিবাদ চলছিল কয়েকদিন ধরে। এর জেরে সোমবার কোনো এক সময় নিজ বাসায় নির্মমভাবে খুন হন গুলনাহার ও রিফাত। নিহত গুলনাহারের মেয়ে গার্মেন্ট কর্মী ময়ূরী বলেন, ‘পাতানো ভাই ফারুকের সঙ্গে মায়ের ঝগড়া চলছিল কিছুদিন ধরে। তখন থেকে বিভিন্ন সময় খুন করার হুমকি দিয়ে আসছিল ফারুক। প্রতিদিনের মতো সেদিন সকালে গার্মেন্ট কারখানায় কাজে চলে যাই। রাতে এসে বাসায় কারও সাড়া না পেয়ে ভিতরে ঢুকে দেখি মা ও ভাইয়ের লাশ পড়ে আছে।’ ময়ূরী বলেন, ‘হত্যাকা-ের পেছনে ফারুক নামের সেই ব্যক্তিই জড়িত বলে আমার ধারণা। আমার মাকে বোন ডেকে সে বাসায় আসা-যাওয়া করত। পাঁচ বছর ধরে ফারুকের সঙ্গে আমাদের পরিচয়।’ চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান খন্দকার বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘সুরতহাল রিপোর্ট অনুযায়ী ছরিকাঘাতে এই নারীকে হত্যা করা হয়েছে এবং হত্যাকা- দেখে ফেলায় ছেলেকেও হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভিকটিমের মেয়ের অভিযোগ এবং প্রাথমিক অনুসন্ধানে এ হত্যাকা-ের জন্য গুলনাহারের পাতানো ভাই ফারুককে সন্দেহ করা হচ্ছে। বর্তমানে সে পলাতক। ফারুকসহ আরও কয়েকজনকে সন্দেহের চোখে রাখা হয়েছে।’ তাদের গ্রেফতারে পুলিশ টিম কাজ করছে বলে জানান তিনি।

সর্বশেষ খবর