করোনা ক্রান্তিকালে অর্থনৈতিক চাকা সচল রাখতে নওগাঁর আত্রাইয়ে শীতকালীন সবজি চাষের পাশাপাশি চাষিরা এখন মাচা পদ্ধতিতে নানা জাতের লাউচাষের দিকে ঝুঁকছেন। কৃষিতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ফলে এখন বারো মাস উৎপাদন হচ্ছে বিভিন্ন সবজিসহ লাউ। সহজ পদ্ধতি এবং গাছের গুণগতমান ভালো থাকায় ফলন বেশি পেয়ে চাষিদের কাছে এখন মাচা পদ্ধতিতে লাউচাষ বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এক চাষির দেখাদেখি অন্য চাষিরাও মাচায় লাউচাষ শুরু করেছেন। অল্প সময়ে বেশি লাভ হওয়ার কারণে নানা জাতের লাউচাষ এখন সনাতন পদ্ধতির বদলে মাচায় চাষ করে অধিক লাভের স্বপ্ন দেখছেন চাষিরা। প্রতিদিনই পাইকারি এবং খুরচা দরে জমি থেকে লাউ বিক্রি হওয়ায় বাজারে দেওয়ার ঝামেলা না থাকায় এটা আরও ভালো দিক দেখছেন চাষিরা। উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের ওয়াজেদ আলী বলেন, একটু বাড়তি আয়ের আশায় প্রতিবেশী কৃষকদের দেখে মাচা পদ্ধতিতে লাউচাষ করেছি। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া উপেক্ষা করে নিবিড় পরিচর্যার মাধ্যমে গাছগুলো ঠিক রাখায় গাছের ডগায় ডগায় প্রচুর ছোট-বড়-মাঝারি আকারের লাউ ধরেছে এবং আমি লাভবানও হয়েছি। কৃষক রফিকুল ইসলাম জানান, আমি মূলত ব্যবসা করি। বাড়ির পাশে নানা জাতের সবজি চাষের পাশাপাশি মাচা পদ্ধতিতে উন্নতমানের বীজ দিয়ে লাউচাষ করি। প্রায় পাঁচ মাস বয়সের মধ্যে ছোট-বড় ও মাঝারি মিলে প্রায় ১ হাজার লাউ বিক্রি করেছি। বাজারমূল্য শুরুতে ভালো পেলেও শেষ মুহূর্তে আশানুরূপ দর পাইনি। ফলে যে পরিমাণ লাভের আশা করেছিলাম তার চেয়ে কিছুটা কম হয়েছে। আমি দিন দিন সবজিসহ লাউচাষের দিকে মনোযোগ দিচ্ছি। আত্রাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কাউছার হোসেন জানান, মাচা পদ্ধতিতে লাউচাষ লাভজনক হওয়ায় আত্রাইয়ে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। আমরা সরাসরি চাষিদের আগ্রহী করে তোলার লক্ষ্যে সার্বিক পরামর্শসহ উন্নত জাতের বীজ দিয়ে সহযোগিতা করছি। এ পদ্ধতিতে লাউচাষে রোগবালাই কম ও ফলন বেশি হওয়ায় চাষিরা লাভবান হচ্ছেন।