রবিবার, ৩ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

রাজধানীতে ছুরিকাঘাতে কিশোরসহ দুজন নিহত

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর মহাখালী কাঁচাবাজার এলাকায় ছুরিকাঘাতে আরিফ (১৬) নামে এক কিশোর নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আরও দুই কিশোর আহত হয়েছে। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে, ভাসানটেকের মাটিকাটা এলাকার একটি বাসায় শাহ আলম (৩৮) নামে এক ব্যক্তি খুন হয়েছেন। পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্র জানায়, শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মহাখালী কাঁচাবাজার এলাকায় দাঁড়িয়ে ছিল আরিফসহ তিনজন। এ সময় কয়েক কিশোর সেখানে এসে তিনজনকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। আহতদের উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে রাত পৌনে ১১টার দিকে চিকিৎসক আরিফকে মৃত ঘোষণা

করেন। বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরে আযম মিয়া বলেন, ডান্ডি খাওয়া নিয়ে মহাখালী কাঁচাবাজার এলাকার দুই গ্রুপ (পথ শিশু) কিশোরদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ কোন্দল চলছিল। এই দ্বন্দ্বে শুক্রবার রাতে নিহত আরিফের গ্রুপ অন্য গ্রুপের কয়েকজনকে পেয়ে ঝাপটে ধরে। ওই গ্রুপ তখন আরিফকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। নিহতের বাবা কবির বাদী হয়ে ৮-১০ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। এ ঘটনায় জনি ও জোনাকী নামে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জনি ছুরিকাঘাত করে এবং অন্যরা সহযোগিতা করে বলে তারা জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে। ঘটনায় জড়িত অন্যদের ধরতে অভিযান চলছে। এদিকে, শুক্রবার রাতে ক্যান্টনমেন্ট সংলগ্ন পাবলিক এলাকা ঘেঁষা একটি বাসার তালা ভেঙে শাহ আলমের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। অবিবাহিত শাহ আলম ওই বাসায় একা থাকতেন। তার গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের ত্রিশাল থানার হরিরামপুর মধ্যপাড়ায়। এ ঘটনায় গতকাল নিহতের ভাই মো. হাফিজুল বাদী হয়ে ভাষানটেক থানায় মামলা করেছেন। ভাষানটেক থানার এসআই জিয়াউদ্দিন বলেন, ৩০ ডিসেম্বর রাত থেকে ৩১ ডিসেম্বর ভোরের কোনো সময়ে কে বা কারা তাকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে হত্যা করে বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে পালিয়ে গেছে। পরিবারের লোকজন তার কোনো খোঁজ না পেয়ে শুক্রবার রাতে বাসায় এসে তার লাশ দেখতে পান।

এসআই আরও জানান, নিহত শাহ আলম বাংলাদেশ এমইএসে সিভিলে কর্মচারী হিসেবে চাকরি করতেন। এ ঘটনায় কয়েকজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আশা করছি, মূল হত্যাকারীকে খুব শিগগির গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে।

সর্বশেষ খবর