কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেই করোনাভাইরাস সংক্রমণ হারের সর্বোচ্চ রেকর্ড দেখল দেশ। গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় প্রতি ১০০ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৩২.৫৫ জনের দেহে সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। মহামারীকালে এটাই এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ শনাক্তের হার। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ১৯৫ জনের, যা গত চার দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর মধ্য দিয়ে দেশে করোনায় মোট মৃত্যু ১৯ হাজার ছাড়াল।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যানুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় ২০ হাজার ৮২৭টি নমুনা পরীক্ষা করে ৬ হাজার ৭৮০ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার ৩২.৫৫ শতাংশ, যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। ঈদের ছুটি শুরুর পর থেকে নমুনা পরীক্ষা কম হওয়ায় কমে গেছে রোগী শনাক্তের সংখ্যা। ঈদের আগের দিন শনাক্তের হার ৩০ শতাংশের নিচে থাকলেও পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় ১১ হাজার ৫৭৯ জন শনাক্তের তথ্য জানানো হয়। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৯ হাজার ৭২৩ জন। গতকাল পর্যন্ত দেশে মোট ১১ লাখ ৫৩ হাজার ৩৪৪ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৯ হাজার ৪৬ জনের। সুস্থ হয়েছেন ৯ লাখ ৮৮ হাজার ৩৩৯ জন। ২০২১ সালের ২৮তম সপ্তাহের তুলনায় ২৯তম সপ্তাহে (১৮ থেকে ২৪ জুলাই) নমুনা পরীক্ষা কমেছে ২৮.৯৪ শতাংশ, শনাক্ত কমেছে ২৬.৬৭ শতাংশ ও মৃত্যু কমেছে ৬.৯৬ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ১৯৫ জনের মধ্যে ১০৩ জন পুরুষ, ৯২ জন নারী। হাসপাতালে ১৯০ ও বাড়িতে পাঁচজন মারা গেছেন। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ৬৮ জন ঢাকা বিভাগে, ৪১ জন খুলনা বিভাগে, ৩৬ জন চট্টগ্রাম বিভাগে, ১৮ জন রাজশাহী বিভাগে, ১৬ জন রংপুর বিভাগে, ১০ জন ময়মনসিংহ বিভাগে, পাঁচজন বরিশাল বিভাগে ও একজন সিলেট বিভাগে মারা গেছেন। বয়স বিবেচনায় মৃতের মধ্যে তিনজন ছিলেন নব্বই-ঊর্ধ্ব, ১৬ জন আশি-ঊর্ধ্ব, ৩৪ জন সত্তরোর্ধ্ব, ৪৭ জন ষাটোর্ধ্ব, ৪৫ জন পঞ্চাশোর্ধ্ব, ৩১ জন চল্লিশোর্ধ্ব, ১৬ জন ত্রিশোর্ধ্ব, দুজনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে আর একজন ১১ বছরের কম বয়সী।