যশোরে শিরিন বেগম নামে এক গৃহবধূকে পেট্রোল ঢেলে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর থেকে তার স্বামী জুয়েল সরদার পলাতক রয়েছেন। জুয়েল সরদারের পরিবার থেকে দাবি করা হচ্ছে, শিরিন বেগম নিজেই শরীরে পেট্রোল ঢেলে আত্মহত্যা করেছেন। দুই পক্ষের বক্তব্য খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি।
এলাকাবাসী জানায়, যশোর সদর উপজেলার আরবপুর মাঠপাড়া এলাকার বাসিন্দা জুয়েল সরদার প্রথম স্ত্রী পলি খাতুনের মৃত্যুর পর পলির ফুফাতো বোন শিরিনকে বিয়ে করেন। এই বিয়ের পর থেকেই তাদের বনিবনা হচ্ছিল না। তুচ্ছ কারণে তাদের মধ্যে গোলযোগ লেগেই থাকত। শিরিনের বাবা খলিলুর রহমান বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে শিরিনের গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন দেন তার স্বামী জুয়েল সরদার। এ সময় শিরিনের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে তাদের সহযোগিতায় শিরিনকে হাসপাতালে ভর্তি করেন জুয়েল। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে দুপুরে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। রাতে তাকে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান শিরিন।
অভিযুক্ত জুয়েলের মা আমেনা বেগম দাবি করেছেন, শিরিন নিজেই গায়ে পেট্রোল ঢেলে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি (তদন্ত) শেখ তাসমীম আলম বলেন, দুই পক্ষের বক্তব্য খতিয়ে দেখে এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিযুক্ত জুয়েল সরদার যশোর শহরের একটি পেট্রোল পাম্পের কর্মচারী। ঘটনার পর থেকেই তিনি পলাতক রয়েছেন।