মঙ্গলবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

ফরিদপুরে পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা ভাঙচুর

ওয়াজ মাহফিলে বাধা দেওয়ার অভিযোগ, পুলিশ বলছে অনুমতি নেওয়া হয়নি

ফরিদপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুরে ইসলামী বক্তা আবু ত্বহার ওয়াজ মাহফিলে বাধা দেওয়ার অভিযোগে বিক্ষুব্ধ জনতা রবিবার রাতে পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালিয়েছে। এলাকার নিরাপত্তায় গতকাল সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। রবিবার রাত সাড়ে ৯টা থেকে সোয়া ১২টা পর্যন্ত ফরিদপুর সদরের কানাইপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুরে নির্মাণাধীন আমজাদ সরদারের জুট মিল মাঠ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করা হয়। পুলিশ ২২ রাউন্ড গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

স্থানীয়রা জানান, ওই মাঠে মারকাজুত তাকওয়া ইসলামী মাদরাসা ও সরদারবাড়ি জামে মসজিদের উদ্যোগে বার্ষিক ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেওয়ার কথা ছিল আবু ত্বহা মুহাম্মদ  আদনানের। রবিবার সন্ধ্যায় ওয়াজ মাহফিল শুরু হয়। রাত সাড়ে ৯টার দিকে মাহফিল মঞ্চ থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়- প্রশাসনের আপত্তির কারণে আবু ত্বহা বক্তব্য দেবেন না। পরে ওয়াজ মাহফিল সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়। ওই সময় ওয়াজের মাঠে প্রায় ১০ হাজার শ্রোতা উপস্থিত ছিলেন। তাদের একটি অংশ বিক্ষুব্ধ হয়ে পাশের ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান এবং সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেন। তাদেরই একটি অংশ ঘটনাস্থল থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে করিমপুর পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালায়। তারা ফাঁড়িতে ইট ছোড়ে এবং পুলিশের দুটি গাড়ি ও একটি অ্যাম্বুলেন্সের কাচ ভেঙে ফেলে। পরে ফরিদপুর থেকে দাঙ্গাপুলিশ গিয়ে শটগানের গুলি ছুড়ে রাত সোয়া ১২টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্য আহত হন।

ওয়াজ মাহফিল আয়োজনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন আমজাদ সরদারের ছেলে রকিব আল হাসান সরদার। ঘটনা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘পুলিশ সীমিত পরিসরে ঘরোয়াভাবে আমাদের এ অনুষ্ঠান করার অনুমতি দিয়েছিল। তবে ওয়াজ মাহফিল চলাকালে রবিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ওসি ফোন করে বাবাকে বলেন আবু ত্বহাকে মঞ্চে ওঠানো যাবে না। ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার বলেন, ‘ওয়াজ মাহফিল করতে হলে থানা থেকে অনুমতি নিতে হয়। ত্বহাকে আনার ব্যাপারে কোনো অনুমতি প্রশাসন দেয়নি। ওই স্থানে ওয়াজ মাহফিলের ব্যাপারে কোনো অনুমতি ছিল না।’ কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিল জানান, বর্তমানে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এ ঘটনায় করিমপুর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বরত কর্মকর্তা পরিদর্শক আবদুল্লাহ আল মামুন শাহ বাদী হয়ে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর