বৃহস্পতিবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

সরলেন বিএনপির তিন প্রার্থী, আইভীর প্রতিদ্বন্দ্বী তৈমূর

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন স্বতন্ত্র পদে বিএনপির তিন প্রার্থী। তাঁরা শেষ পর্যন্ত মনোনয়নপত্র দাখিল করেননি। এতে করে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) তৃতীয় নির্বাচন জমে উঠতে শুরু করেছে। এ অবস্থায় নাসিকের মেয়র পদে আওয়ামী লীগের ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে দাঁড়িয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জেলা বিএনপি আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। তবে তিনি লড়বেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে। তাঁর ভাষ্য, ‘আমার মার্কা জনগণ’। সবকিছু ঠিক থাকলে মেয়র পদে লড়াই জমবে এ দুই প্রার্থীর মধ্যে। গতকাল পর্যন্ত মেয়র পদে তৈমূর আলম খন্দকার ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীসহ আটজন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। বাকি ছয়জন হলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুফতি মো. মাসুম বিল্লাহ, খেলাফত মজলিশের এ বি এম সিরাজুল মামুন, খেলাফত আন্দোলনের জসিম উদ্দিন, কল্যাণ পার্টির রাশেদ ফেরদৌস সোহেল মোল্লা, স্বতন্ত্র মোহাম্মদ সুলতান মাহমুদ ও কামরুল ইসলাম বাবু। নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা, জেলা নির্বাচন অফিসার মতিয়ুর রহমান বলেন, ‘শেষ দিন পর্যন্ত মোট আটজন মেয়র প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আশা করি সবাই আমাদের সহযোগিতা করবেন এবং আচরণবিধি মেনে চলবেন।’

জানা গেছে, অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারকে সমর্থন জানিয়ে নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিল করা থেকে সরে এসেছেন মহানগর বিএনপি আহ্বায়ক এ টি এম কামাল। অন্যদিকে মনোনয়নপত্র দাখিল করা থেকে সরে এসেছেন সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন ও মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান। গতকাল সকালে গণমাধ্যমকে মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন নির্বাচন না করার কথা জানান। আর নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। তিনি সবশেষ ২০১৬ সালের নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে পরাজিত প্রার্থী।

সংবাদ সম্মেলনে সাখাওয়াত হোসেন খান জানান, দলের হাইকমান্ডের নির্দেশেই তিনি নির্বাচনে থাকবেন না। বিএনপি নীতিগত কারণেই এ নির্বাচন বয়কট করছে। তিনি বলেন, ‘সে কারণেই আমি নির্বাচনে থাকব না এবং যারা এখনো সরে আসেনিন তাদের উদাত্ত আহ্বান করব আপনারাও সরে আসুন। আমি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও মহাসচিবের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তাঁরা আমাকে জানিয়েছেন দল নির্বাচনে অংশ নেবে না এবং কেউ নির্বাচনে অংশ নিলে তা হবে তার ব্যক্তিগত। দল তাকে কোনো প্রকার সহযোগিতা করবে না এবং তার পাশে থাকবে না।’ এবার নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন এলাকায় মোট ভোটার ৫ লাখ ১৭ হাজার ৩৫৭ জন। পুরুষ ২ লাখ ৫৯ হাজার ৮৩৪, মহিলা ২ লাখ ৫৭ হাজার ৫১৯ আর তৃতীয় লিঙ্গের চারজন। ভোট গ্রহণের জন্য মোট কেন্দ্র রয়েছে ১৮৭টি। ভোটকক্ষ ১ হাজার ৩০১টি। এ ছাড়া অস্থায়ী ভোটকক্ষ ৯৫টি।

সর্বশেষ খবর