রবিবার, ২২ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

ডুমুরিয়ায় ছাত্র শিক্ষক ব্যবসায়ী দফায় দফায় সংঘর্ষ, আহত ২০

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

খুলনার ডুমুরিয়া কাঁঠালতলা এলাকায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। গতকাল সকাল ১০টায় শুরু হওয়া সংঘর্ষে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ভাঙচুর, ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে দুপুর ২টা পর্যন্ত। দফায় দফায় চলা এ সংঘর্ষে কাঁঠালতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-ছাত্র, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক, পথচারীসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। কাঁঠালতলা বাজারে ৩টি দোকানঘর ও কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। জানা যায়, স্থানীয় ভদ্রা নদীর তীরে কাঁঠালতলা মঠের জমি নিয়ে ওই স্কুলের শিক্ষক তাপস বসাকের সঙ্গে মাঠ কমিটির সদস্য ও কাঁঠালতলা বাজার ব্যবসায়ী শংকর নাথের পূর্ব শত্রুতা ছিল। বিবাদের জের ধরে গতকাল সকাল ১০টার দিকে কাঁঠালতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী বাজার থেকে শংকর নাথকে ধরে এনে স্কুলের অভ্যন্তরে বেধড়ক মারধর করে। ঘটনাটি জানতে পেরে স্কুলের প্রধান শিক্ষক স ম আ. রাজ্জাক ঘটনাস্থল থেকে শংকর নাথকে উদ্ধার করে তার কক্ষে নিয়ে যায়। এদিকে বাজার কমিটির লোকজন ব্যবসায়ীকে মারধরের খবর পেয়ে স্কুলে উপস্থিত হয়। এ সময় শিক্ষক ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে বাজারের ব্যবসায়ী মো. আজাহারুল স্কুলের প্রধান শিক্ষককে তার কক্ষের মধ্যে লাঞ্ছিত করেন। তার জামার কলার ধরে তাকে কক্ষের বাইরে আনার চেষ্টা করেন।

এতে উত্তেজিত শিক্ষক- ছাত্ররা ঘটনাস্থলে জড়ো হয়ে ব্যবসায়ীদের ধাওয়া করেন। তারা লাঠিসোঁটা নিয়ে বাজারের কয়েকটি দোকান ও গাড়ি ভাঙচুর করে। ব্যবসায়ীরাও জড়ো হয়ে তাদেরকে পাল্টা ধাওয়া দেয়।

এ সময় সংঘর্ষ ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনায় শিক্ষক-ছাত্র, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক, পথচারিসহ ২০ জন আহত হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।

প্রধান শিক্ষক আ. রাজ্জাক জানান, স্কুলের ভিতরে একজনকে মারধরের ঘটনা জানতে পেরে তাকে উদ্ধার করে আমার কক্ষে নিয়ে আসি। পরে ব্যবসায়ী পরিচয় পেয়ে কাঁঠালতলা বাজার সমিতির সভাপতিকে মোবাইলে স্কুলে আসতে বলি। তার সঙ্গে আরও লোকজন স্কুলে এসে ঘটনায় শিক্ষকদের দোষারোপ করেন। এক পর্যায়ে আমাকে শিক্ষক-ছাত্রদের সামনেই লাঞ্ছিত করেন। এতে উত্তেজিত হয়ে ছাত্ররা বিক্ষোভ মিছিল করেছে। বাজার সমিতির সভাপতি আজিজুর রহমান জানান, ছাত্ররা বাজারে এসে মুদি দোকানদার শংকরকে তুলে নিয়ে যায়। অন্যরা বাধা দিলে তাদেরকে মারধর করা হয়। শংকরকে স্কুলের মধ্যে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। তাকে উদ্ধার করতে গেলে লাঠিসোঁটা নিয়ে আমাদের ধাওয়া দেওয়া হয়। বাজারের ৩টি দোকান ভাঙচুর করা হয়েছে। ডুমুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ কনি মিয়া জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। দুপক্ষের সঙ্গেই কথা হয়েছে। আজ বৈঠকে সবার উপস্থিতিতে পুরো বিষয়টি নিয়ে আলোচনা-সমাধানের চেষ্টা করা হবে।

সর্বশেষ খবর