সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার সেই ঝুমন দাসকে (যার মন্তব্যকে কেন্দ্র করে গত বছর সহিংস ঘটনা ঘটেছিল) আটকের পর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেফতার দেখিয়েছে পুলিশ। ফেসবুকে ‘ধর্মীয় উসকানিমূলক’ স্ট্যাটাস দেওয়ার জেরে মঙ্গলবার উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রাম থেকে তাকে আটক করে শাল্লা থানা পুলিশ। পরে মধ্য রাতে তাকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। স্থানীয়রা জানান, মন্দিরের দেয়ালে মসজিদের দানবাক্স ঝুলানো সংক্রান্ত একটি পোস্ট নিজের ফেসবুক আইডিতে শেয়ার করেন ঝুমন দাস। এটাকে সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়ের ‘ইতরামি’ বলে অভিহিত করায় এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেওয়ার পর ঝুমন দাসের গ্রাম নোয়াগাঁওয়ে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
প্রসঙ্গত, হেফাজতে ইসলামের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে নিয়ে ফেসবুকে ‘কুরুচিপূর্ণ’ স্ট্যাটাস দেওয়ায় গত বছর ১৬ মার্চ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় তাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। ওই সময় তিনি ছয় মাস কারা ভোগ করেন। কয়েক হাজার লোক লাঠিসোঁটা নিয়ে মিছিল করে নোয়াগাঁও গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর লুটপাট ও ভাঙচুর করে। শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জানান, ঝুমন দাসকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। থানার এসআই সুমনুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। ঝুমনের ভাই নূপুর দাস বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক উসকানি দেওয়ার অভিযোগে পুলিশ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় ঝুমন দাসকে থানায় নিয়ে যায়। গত দুই দিন ধরে তাকে অনুসরণ করছিল পুলিশ। আটকের সময় পুলিশ তার মোবাইল ফোন জব্দ করে কিছু পোস্ট ডিলিট করে দেয়।’