জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সংসদে বিরোধীদলীয় উপনেতা জি এম কাদের বলেছেন, টেলিভিশন, পত্রিকা ও অনলাইন মিডিয়া আতঙ্কের মাঝে দায়িত্ব পালন করছে। কেউ প্রাণ খুলে কথা বলতে পারে না। খবর প্রকাশে নিজেরাই নিজেদের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ বা সেলফ সেন্সরশিপ করতে বাধ্য হচ্ছেন। গতকাল জাতীয় সাংবাদিক ঐক্যের (এনইউজে) নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ সিজিএসের তথ্য উল্লেখ করে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, গত দুই বছরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ১০৮টি মামলায় ২০৮ জন সাংবাদিককে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এতে প্রমাণ হয়, ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন তৈরি হয়েছে গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করতে। এই কালো আইন অবিলম্বে সংশোধন করা জরুরি। তিনি বলেন, সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদনের তারিখ পিছিয়েছে ৯১ বার। ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীতে খুন হন সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি। ১০ বছর অতিবাহিত হলেও এখনো সাগর-রুনি হত্যার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আমরা চাই, সাগর-রুনিসহ সব সাংবাদিক নির্যাতনের বিচার হোক। আয়োজক সংগঠনের আহ্বায়ক খন্দকার দেলোয়ার জালালীর সভাপতিত্বে মিজান আহমেদ, রেজাউল ইসলাম বাবু, কামরুল হাসান শিশির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।