বুধবার, ১২ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা

প্রত্যাশিত উন্নয়ন না করতে পারা মনে পীড়া দেয়

----- মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

প্রত্যাশিত উন্নয়ন না করতে পারা মনে পীড়া দেয়

সরকারি প্রকল্প ছাড়া গত চার বছরে সিটি করপোরেশনকে যে জায়গায় এনেছি তা ৫০ বছরেও সম্ভব ছিল না। আমি বলব না যে সফল হয়েছি। জনগণ যে আশা নিয়ে আমাকে মেয়র বানিয়েছে তাদের সেই আশা আমি পূরণ করতে পারিনি অর্থের অভাবে। বিষয়টি সব সময় আমার মনে পীড়া দেয়। তবে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মেনে সিটি করপোরেশনকে নিজের পায়ে দাঁড় করাতে পেরেছি। নাগরিক দুর্ভোগ ও নানা সংকটের বিষয়ে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ। শনিবার নগরীর কালীবাড়ি রোডে নিজ বাসভবনে মেয়র বলেন, নগরীর শাখা সড়ক ও অলিগলির দুরবস্থা দেখেছি। ওই সব সড়ক সংস্কারের টেন্ডার হয়েছে। বর্ষা কেটে গেলে সংস্কারের কাজ শুরু হবে। বাকি মেয়াদে পর্যায়ক্রমে সব সড়ক সংস্কার করা হবে। বিশৃঙ্খল গণপরিবহন ব্যবস্থার বিষয়ে মেয়র বলেন, হলুদ অটোরিকশায় শৃঙ্খলা আনতে সিরিয়াল নম্বর দিচ্ছেন তিনি। বলেন, ব্যাটারিচালিত রিকশার অনুমোদন সিটি করপোরেশন দেয় না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি যানজট নিরসনেও উদ্যোগ নেওয়া হবে। ফুটপাত অবৈধ দখলের বিষয়ে সাদিক বলেন, ‘করোনার সময়ে হকারদের ছাড় দিয়েছিলাম। অবশ্যই তাদের নিয়ন্ত্রণে আনা দরকার। তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে ফুটপাত দখলমুক্ত করা হবে।’ বিশুদ্ধ পানির সংকটের কথা স্বীকার করে মেয়র বলেন, আগে বিশুদ্ধ পানির চরম হাহাকার ছিল। দুটি সারফেস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট অকার্যকর। ব্যক্তিগতভাবে অনেক এলাকায় তিনি পাম্প স্থাপন করেছেন। দীর্ঘস্থায়ী সমাধানের জন্য ছোট হলেও একটি সারফেস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট প্রয়োজন। বর্ষায় জলাবদ্ধতা এবং খালগুলো সংস্কারের বিষয়ে তিনি বলেন, খালগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করা হচ্ছে। নাব্যতা কমে যাওয়ায় খাল দিয়ে পানি নিষ্কাশন হচ্ছে না। খালগুলো অবৈধ দখলমুক্ত করে খনন ও দুই তীর সংরক্ষণ না করা পর্যন্ত এ সমস্যার সমাধান হবে না। খাল সংস্কারের জন্য মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া প্রকল্প পাস হলে বরিশালে জলাবদ্ধতা থাকবে না। অভিযোগ করলে দালালদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন তিনি।

সর্বশেষ খবর