রবিবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা

সংকট বহুমাত্রিক, প্রয়োজন নাগরিক সহযোগিতা

---------- এম রেজাউল করিম চৌধুরী

সংকট বহুমাত্রিক, প্রয়োজন নাগরিক সহযোগিতা

চট্টগ্রাম শহরে বহুমাত্রিক সংকট আছে। সমাধানের কাজ চলছে। তবে প্রয়োজন নগরবাসীর সহযোগিতা। জানালেন সিটি মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী। একে একে এক ডজন সমস্যা নিয়ে শহরবাসীর সংকটের কথা স্বীকার করলেন চসিক মেয়র।

তবে তিনি বললেন, নাগরিক দুর্ভোগ কিংবা সংকট সমাধানে নানা পর্যায়ে কাজ চলছে। প্রয়োজন সব পক্ষের সহযোগিতা। সবচেয়ে বেশি সচেতন হতে হবে নগরবাসীকে। সংকটের তীব্রতায় সমাধানের পথে মেয়র রেজাউল সর্বোচ্চ প্রাধান্য দেওয়ার কথা বললেন জলাবদ্ধতাকে। এরপর তিনি জানালেন একে একে অন্য সব নাগরিক সমস্যার কথা।

এক প্রশ্নে জবাবে চট্টগ্রাম শহরের জনসংকটের মধ্যে যথাক্রমে জলাবদ্ধতা, অবৈধভাবে ফুটপাত দখল, খাল-নালায় অবৈধ স্থাপনা, পার্কিংয়ের অভাব, মশার প্রাদুর্ভাব, যানজট, মাদক, পরিছন্নতা, আলোকায়ন, নালা-নর্দমায় পলিথিনের ভাগাড়, হোল্ডিং ট্যাক্স ইস্যু; সর্বোপরি সচেতনতার অভাবকেই তুলে ধরলেন চসিক মেয়র। তিনি বলেন, ‘জলাবদ্ধতার সংকটে গত বর্ষায়ও শহরবাসীকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। যেসব খাল সিডিএর প্রকল্পের অধীনে এখনো খননের প্রক্রিয়ায় রয়েছে সেগুলো শুষ্ক মৌসুমে পানিপ্রবাহ নিশ্চিত রেখে খনন প্রয়োজন।’

মেয়র রেজাউল বলেন, খাল খনন প্রক্রিয়ার গতি আরও বাড়াতে হবে।

শহরবাসীর প্রাণের দাবি হোল্ডিং ট্যাক্স পূর্বাবস্থায় রাখা প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, ‘২০১৭-১৮ সালের অ্যাসেসমেন্ট অনুযায়ী হোল্ডিং ট্যাক্স নির্ধারণের প্রক্রিয়া হয়েছে। তবে এ ক্ষেত্রে আপিল করে সর্বোচ্চ সহনীয় পর্যায়ে আদায়ের সুযোগ দেওয়া হবে। নগরবাসীর দুর্ভোগ হয় এমন কর আমরা নেব না।’

ফুটপাত দখল করে হকারের বিক্রিবাট্টার বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক উচ্ছেদ অভিযান প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, শুক্র ও শনিবারে ‘হলিডে মার্কেট’ চালুর চিন্তাভাবনা চলছে।

যানজট নিরসন ও ডিজিটাল ট্রাফিক সিগন্যাল পদ্ধতি বিষয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ-সিএমপি কমিশনারের সঙ্গে ইতোমধ্যে বৈঠকের কথা জানান মেয়র। এও বলেন, পে-পার্কিং ব্যবস্থার চিন্তাভাবনা চলছে।

এদিকে মশকনিধন ও ডেঙ্গুর আবির্ভাব ঠেকানোয় চলমান ক্র্যাশ প্রোগ্রামের পাশাপাশি মানুষকেই সবচেয়ে বেশি সচেতন হতে হবে বলে জানান মেয়র।

রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, শহরে মাদক অনেকটা নিয়ন্ত্রিত হয়েছে। সামাজিক বন্ধন আগের মতো না থাকায় ছেলেরা বিপথে যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে অভিভাবক ও সামাজিক সর্দার, মাতব্বর, মুরব্বিদের দায়িত্ব রয়েছে।

মেয়র বলেন, ‘এর মধ্যে শহরের ৫০ শতাংশ এলাকায় আলোকায়ন রয়েছে। ভারতের অর্থায়নে ২৬০ কোটি টাকার প্রক্রিয়াধীন প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে অন্তত ৮০ শতাংশ এলাকা আলোকিত হবে। শহরের পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিতে পূর্ববর্তী মেয়রের নেওয়া প্রকল্পের বাইরেও আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে ময়লা অপসারণের জন্য প্রাথমিকভাবে ২৪ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এটি সফল হলে পুরো নগরজুড়ে এ প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে।’

সিটি মেয়র বলেন, শহরটি নগরবাসীর। শহরবাসীর সর্বোচ্চ সচেতন সহযোগিতায় যাবতীয় সংকট সমাধান সহজতর হতে পারে।

সর্বশেষ খবর