সিলেট জাতীয় পার্টির দ্বিতীয় দুর্গ ছিল। এখানের মানুষ এখনো এরশাদকে ভালোবাসেন। জাতীয় পার্টিকে সমর্থন করেন। কিন্তু অতীতের সাংগঠনিক বিভিন্ন ভুল সিদ্ধান্ত, নেতৃত্বের দুর্বলতায় দল সুসংগঠিত করা যায়নি। আবারও তৃণমূলে জোয়ার উঠবে। ফিনিক্স পাখির মতো সিলেটে জাতীয় পার্টি জেগে উঠবে এমন আশা ব্যক্ত করেছেন দলটির জেলা শাখার সদস্য সচিব সাইফুদ্দিন খালেদ।
তার মতে, দীর্ঘদিন দল ক্ষমতার বাইরে থাকায় নেতা-কর্মীরা রাজনীতিতে আগ্রহ হারিয়েছেন। একসময় সিলেটের প্রবীণ ব্যক্তিরা জাতীয় পার্টির কর্ণধার ছিলেন। তাদের মৃত্যুর পর নতুন প্রজন্মকে সেভাবে দলে টানা যায়নি। এতে নেতৃত্ব সংকট তৈরি হয়। যা দিন দিন প্রকট হয়ে দাঁড়ায়।
ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর এরশাদ কারান্তরীণ অবস্থায় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট বিভাগে বাজিমাত করে জাতীয় পার্টি। কারাবন্দি এরশাদ সিলেটের মানুষের মনে বেশি প্রভাব ফেলেন। এরপর ধীরে ধীরে দুর্বল হতে থাকে সাংগঠনিক অবস্থা। তিনি বলেন, সিলেটের মানুষ এরশাদকে স্বজনদের মতো ভালোবাসেন। এরশাদও সিলেটকে তার দ্বিতীয় বাড়ি বলতেন।এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সাংগঠনিক দিক দিয়ে অন্য বড় দলগুলো থেকে জাতীয় পার্টি কিছুটা পিছিয়ে। তবে এখনো সমর্থক কমেনি। দক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নেতৃত্ব পেলে আবারও জাতীয় পার্টি জেগে উঠবে। সব উপজেলা কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী নভেম্বর মাসে জেলা সম্মেলন হবে। এর মাধ্যমেই সিলেট জেলাজুড়ে জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীদের মাঝে নতুন প্রাণচাঞ্চল্য ফিরবে। আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কেউ কেউ দলীয় মনোনয়ন নিয়ে শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকেননি। এদের কেউ ভয়ে আবার কেউ লোভে পড়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এখন অনেকটা শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। অন্য এক প্রশ্নের জবাবে সাইফুদ্দিন খালেদ বলেন, কোনো জোটের শরিক হয়ে নির্বাচনে গেলেও সিলেটের বেশির ভাগ আসন জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হবে। সিলেট-৩, ৪, ৫ ও ৬ সংসদীয় আসনে জাতীয় পার্টির শক্তিশালী অবস্থান রয়েছে। এসব আসনে দলীয় প্রার্থী দেওয়া ও জয় নিশ্চিতে কাজ চলছে।