শরৎকাল বিদায় নিয়েছে। প্রকৃতিতে লেগেছে হেমন্তের ছোঁয়া। এই সময়ে হিমালয় কন্যাখ্যাত পঞ্চগড়ে অনুভূত হচ্ছে শীতের আমেজ। ভোরে কুয়াশা পড়ছে, ঝরছে শিশির। ধানের শিষ বা ঘাসের ডগায় শিশির কণা মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে। কুয়াশা আর শীতের আমেজ বিরাজ করছে এখানে। পৃথিবীর সর্ববৃহৎ পাহাড় হিমালয়ের বুকচিরে জেগে আছে পৃথিবীর তৃতীয় উচ্চতম শৃঙ্গ কাঞ্চনজংঘা। ভোরে সূর্য উঠার সঙ্গেই রূপ লাবণ্য ছড়িয়ে কাঞ্চনজংঘা সারা পঞ্চগড়ে এক মায়াময় আবেশ সৃষ্টি করছে।
শরৎ, হেমন্ত আর শীতে পঞ্চগড়ের মানুষ উপভোগ করে কাঞ্চনজংঘার সৌন্দর্য। ভোরে নিজেকে মেলে ধরে এই শৃঙ্গ। হিমালয়ের ¯িœগ্ধ হাসি ছড়ায়। এ যেন আকাশ আর স্থলের ক্যানভাসে আঁকা ছবি। এক শক্তিমান প্রতিভুর মতো দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে হঠাৎ লুকিয়ে পড়ে মেঘের আড়ালে। বাতাসে উড়তে উড়তে মেঘ সরে গেলে আবার জেগে ওঠে। যেন লুকোচুরির খেলা। এই খেলায় দর্শকরাও যোগ দেয়। তেঁতুলিয়া থেকে কাঞ্চনজংঘার দূরত্ব ১৬৫ কিলোমিটার। তেঁতুলিয়ায় ডাকবাংলো এলাকা, মহানন্দা, ভেরসা, করোতোয়া, ডাহুক নদীর পাড় থেকে সবচেয়ে ভালো উপভোগ করা যায় কাঞ্চনজংঘা। একে বলা হয় সুপেয় পানির উৎসস্থল।