সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ চট্টগ্রাম দূরে থাক, সারা দেশে পাঁচটি আসনও পাবে না বলে মনে করছেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন।
তিনি বলেন, বিএনপির আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তাকে ভয় পাচ্ছে আওয়ামী লীগ। তাই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে আওয়ামী লীগ গোস্বা-ভীত। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের বিগত নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ছিলেন ডা. শাহাদাত। সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচনেও কোতোয়ালি-বাকলিয়া সদর আসনে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন তিনি। উভয় নির্বাচনেই কারচুপির অভিযোগ তোলা এই নেতা মনে করেন, আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা এখন শূন্যের কোঠায়। বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করা এই নেতা বলেন, জনসমর্থন নেই বলেই আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করছে। নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে সেই নির্বাচনের জন্য বিএনপি সর্বাত্মক প্রস্তুত। দমন-পীড়ন ও রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করেও বিএনপির জনপ্রিয়তাকে ঠেকাতে পারছে না আওয়ামী লীগ। মহানগরের বিএনপির দীর্ঘদিনেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি না হওয়া এবং যুবদল ও ছাত্রদলের সাংগঠনিক স্থবিরতার আড়ালে বিএনপির অভ্যন্তরীণ বিরোধ কাজ করছে কি না সে প্রসঙ্গে এক প্রশ্নে ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোনো ক্লেশ নেই। কারও কারও ভিন্নমত থাকতে পারে। ২০১৬ সালে গঠিত মহানগর বিএনপির কমিটিকে তিন বছর মেয়াদ পার হলে আরও দুই বছর অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়। যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দলসহ সবার সফল সম্মেলনের প্রস্তুতি চলছে। জনসমর্থন ও সাংগঠনিক শক্তিই বিএনপির এখন বড় সম্বল। বিএনপির এই শক্তিকেই ভয় পায় ক্ষমতাসীন দল। অতিসম্প্রতি সম্পন্ন হওয়া বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমাবেশ এর প্রমাণ। সমাবেশের আগে টানা তিন দিন ধরে গ্রেফতার অভিযান চালানো হয়েছে। ধর্মঘট করা হয়েছে। এখনো ২১ জন নেতা-কর্মী জেলে এবং ৮-১০ জন হাসপাতালে রয়েছেন। তবু সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে মহাসমাবেশ। আওয়ামী লীগকে সে রকম একটি মহাসমাবেশ করে নিজেদের জনপ্রিয়তার প্রমাণ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন এই বিএনপি নেতা।