কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি শিমুল আহমেদ খানের ছোট ভাই আবদুল আওয়াল কনক দুর্বৃত্তের গুলিতে আহত হয়েছেন। গত রাত ৯টার দিকে বাড়ি ফেরার পথে তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় কনককে ২৫০ শয্যার কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি শিমুল আহমেদ খান এ হামলার জন্য কুষ্টিয়া-৪ (কুমারখালী-খোকসা) আসনের এমপি ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জর্জ ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বাবুল আক্তারের লোকজনকে দায়ী করে নিজের ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। ছাত্রলীগ সভাপতির স্ট্যাটাস প্রসঙ্গে ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জর্জ বলেন, নিঃসন্দেহে এ হামলা ন্যক্কারজনক। এর পিছনে আমি বা বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততা নেই। তিনি দাবি করেন, বাবুল আক্তার খোকসা উপজেলা চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন পাওয়ার পর থেকে স্থানীয় একজন নেতা ও তার কর্মী বাহিনী আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে পরাজিত করতে উঠেপড়ে লেগেছেন। তারা ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টায় লিপ্ত। এই হামলা তারই অংশ। খোকসা থানার ওসি সৈয়দ আশিকুর রহমান জানান, খোকসা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনের প্রচারণা বন্ধ থাকলেও উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘাত চলছেই। মঙ্গলবার রাতে গোলাগুলিতে উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতির ভাইয়ের ঘাড়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
এ হামলার সঙ্গে জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে। প্রসঙ্গত বুধবার (আজ) খোকসা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন ঘিরে এখানে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও সমর্থকদের মধ্যে প্রতিদিনই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। এসব ঘটনায় উত্তপ্ত পুরো খোকসা উপজেলা।