মেহেরপুর জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক আবদুল হাদী বলেছেন, এখানে জাতীয় পার্টির সার্বিক অবস্থা বর্তমানে সুসংগঠিত। তরুণরা আমাদের দলে ঝুঁকছেন। বিএনপি ও আওয়ামী লীগের অনেক হতাশ কর্মী-সংগঠকরা এরই মধ্যে জাতীয় পার্টিতে যোগদান করেছেন। আরও যোগ দেবেন। আমাদের বিভিন্ন কর্মসূচিতে এসব কর্মীরা স্বতঃস্ফুর্তভাবে অংশগ্রহণ করছেন। তিনি বলেন, এরই মধ্যে আমরা তিন উপজেলার ২ পৌরসভা ও ১৪টি ইউনিয়নের সম্মেলন শেষ করেছি। আগামী কিছুদিনের মধ্যে জেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সে সম্মেলনে দলের ত্যাগী ও প্রবীণ নেতারা মূল্যায়িত হবেন। তখন দল আরও সুসংগঠিত হবে। তিনি দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম দুর্বলের কথা স্বীকার করে বলেন, ‘কারণ এর আগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক দলের দিকে নজর দেননি। তাদের দুজনের বাড়ি জেলার দুই প্রান্তের পাড়াগাঁওয়ে। জেলা শহর থেকে প্রায় ২৫-৩০ কিলোমিটার দূরে। তারা জেলা শহর কেন্দ্রিক হতে পারেননি। দলের স্বার্থে জেলা শহরে যে পরিমাণ সময় দেওয়ার কথা তা তারা না দেওয়ায় দলকে সেভাবে তারা গোছাতে পারেননি। তবে বর্তমানে সে অবস্থা নেই। বর্তমান আহ্বায়ক কমিটি পাড়া, মহল্লা ওয়ার্ডে গ্রামে কাজ করছে। দলের নিষ্ক্রিয় নেতা-কর্মীদের সক্রিয় করেছে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, বিদ্যুতের সংকট নিয়ে আন্দোলনের জন্য আমরা প্রস্তুত আছি। দলের হাইকমান্ডের দিকনির্দেশনা পেলেই আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ব।’ তিনি উল্লেখ করেন, ‘গত ইউপি নির্বাচনে আমরা সাতটি ইউনিয়নে আমাদের প্রার্থী দিয়েছিলাম। তারা নির্বাচিত না হলেও বিপুল ভোট পেয়েছেন। আগামী সংসদ নির্বাচনে এখানে শক্ত প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। সেই প্রার্থীরা জয়লাভও করবেন বলে আমরা মনে করি।’