সোমবার, ৭ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

রাজনৈতিক অচলাবস্থা সৃষ্টি করে চলেছে বড় দুটি দল

-আবদুর রহমান রুমী

রাজনৈতিক অচলাবস্থা সৃষ্টি করে চলেছে বড় দুটি দল

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি আবদুর রহমান রুমী বলেন, দেশে বর্তমানে যে রাজনৈতিক অচলাবস্থা, সেটা সৃষ্টি করেছে বড় দুটি দল। এই দুই দলের সঙ্গে যারা জোটবদ্ধ ছিল বা আছে, অর্থাৎ জাতীয় পার্টি, জামায়াত- তারা এদেশে সুস্থ রাজনীতির ধারাটাই নষ্ট করে দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, বর্তমান রাজনৈতিক অচলাবস্থার উত্তরণ ঘটাতে তৃতীয় ধারার সৃষ্টি করা, মুক্তিযুদ্ধের ধারায় অসাম্প্রদায়িক ও শোষণমুক্তির চেতনায় একটি রাজনৈতিক ধারা সৃষ্টি করার জন্য আমরা লড়াই-সংগ্রাম করছি। কমিউনিস্ট পার্টিসহ কয়েকটি বাম দল মিলে বাম গণতান্ত্রিক জোট এবং কমিউনিস্ট পার্টির নিজস্ব শক্তিতে লড়াই-সংগ্রাম করছে। বাম দলগুলো মিলে সফল হরতালও পালন করেছি। পার্টির সাংগঠনিক অবস্থা সম্পর্কে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময় এবং সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে কমিউনিস্ট পার্টি সামনের কাতারে ছিল এবং সমাজের অগ্রযাত্রায় পার্টির ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয় এবং এখনো সেরকমই আছে। আগামীতে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় কমিউনিস্ট পার্টির প্রস্তুতি রয়েছে। জেলার ১৩ উপজেলার মধ্যে তিনটিতে পূর্ণাঙ্গ কমিটি এবং কয়েকটি উপজেলায় যোগাযোগ ও সাংগঠনিক কাঠামো রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জেলার সবগুলো ইউনিয়ন ও উপজেলায় কমিটি গঠনের লক্ষ্যে দ্রুত কাজ করছি। ‘দেশের বর্তমান রাজনৈতিক ও সমাজব্যবস্থায় ভালো থাকার কোনো সুযোগ নেই’ উল্লেখ করে আবদুর রহমান রুমী বলেন, মানুষ একটা অস্বস্তি ও অস্থির অবস্থার মধ্যে রয়েছে। কারণ নির্বাচন পদ্ধতি, অর্থনৈতিক অবস্থা, জিনিসপত্রের দাম, সামাজিক নিরাপত্তা, শিক্ষা-স্বাস্থ্যব্যবস্থা অত্যন্ত নাজুক।

আগামী সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচন আমরা চাই। কিন্তু নির্বাচন সম্বন্ধে শুধু রাজনৈতিক দল নয়, জনগণের মাঝেই একটা অনাস্থার ভাব সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনে মানুষ তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে বলে মনে করে না। সাম্প্রতিককালে যে কয়টা নির্বাচন হয়েছে, তাতে মানুষের মতামতের প্রতিফলন ঘটেনি। সে কারণে সংখ্যানুপাতের নির্বাচন পদ্ধতি চালু করার দাবি নিয়ে কমিউনিস্ট পার্টি অগ্রসর হচ্ছে। নির্বাচনের সুস্থ ধারা ফিরিয়ে আনা, অবৈধ টাকার খেলা বন্ধ করে গরিব-যোগ্য মানুষ যেন নির্বাচনে অংশ নিতে পারে, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। সে জন্য সংসদ ভেঙে দলনিরপেক্ষ তদারকি সরকারের মাধ্যমে আগামী সংসদ নির্বাচন চাই।

এর আগে জেলার চারটি আসনে কমিউনিস্ট পার্টি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, যদি নির্বাচনব্যবস্থা সঠিক জায়গায় ফিরে আসে, তবে আগামী দিনে সবকটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার চিন্তাভাবনা রয়েছে।

 

সর্বশেষ খবর