মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস এ জিন্নাহ কবীর বলেছেন, ‘মানিকগঞ্জের মানুষ অনাদিকাল থেকে বিএনপিকে মনেপ্রাণে ধারণ করেন। রাতের আঁধারে ভোট ছিনিয়ে না নিলে এখনো জেলার সব কটি আসনেই বিএনপির এমপি থাকতেন। মানিকগঞ্জের প্রতিটি ঘর বিএনপির একেকটি দুর্গ।’ বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি এসব কথা বলেন। জিন্নাহ কবীর বলেন, ‘দীর্ঘদিন পর গত বছর ১৪ মার্চ সম্মেলন করে জেলা বিএনপির কমিটি গঠিত হয়েছে। সম্মেলনে সাবেক মন্ত্রী হারুনার রশীদ খান মুন্নুর মেয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আফরোজা খান রিতা সভাপতি নির্বাচিত হন। আর সাধারণ সম্পাদক করা হয় আমাকে। আমরা দলকে গুছিয়ে সুসংগঠিত করেছি। জেলা বিএনপির সম্মেলনের পর থেকে নেতা-কর্মীরা নতুন উদ্যমে মাঠে নেমেছেন।’
তিনি বলেন, মামলা-হামলায় জর্জরিত নেতা-কর্মীরা বিএনপির ঘাঁটি পুনরুদ্ধার করতে মরিয়া। দ্বিধাদ্বন্দ্ব ভুলে সব নেতা-কর্মী এক কাতারে দাঁড়িয়েছেন। কেন্দ্রীয় প্রতিটি কর্মসূচি পালনে তারা বদ্ধপরিকর।
জেলা বিএনপির এই সাধারণ সম্পাদক বলেন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে তিনটি আসনেই বিএনপির প্রার্থীরা এখানে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হবেন। এত অত্যাচার-নির্যাতনের পরও নেতা-কর্মীদের মনোবল ভাঙেনি। যে কোনো কর্মসূচিতে এখানে মানুষের ঢল নামে। দল-ঘোষিত যে কোনো সমাবেশে পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে, মামলা-হামলার তোয়াক্কা না করে নারী-পুরুষসহ জেলার সব শ্রেণি-পেশার মানুষ যোগ দেন। এরাই বিএনপির মূল শক্তি। তিনি বলেন, জেলায় বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন আজ ঐক্যবদ্ধ। জনগণের ভোটাধিকার আদায়ের জন্য মাঠে নেমেছেন নেতা-কর্মীরা। অধিকার আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা মাঠ ছাড়বেন না।