বুধবার, ২৯ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

১২ কোটি টাকা ভাগবাটোয়ারার অভিযোগ

রাহাত খান, বরিশাল

বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, নার্সিং কলেজসহ স্বাস্থ্য বিভাগের বিভিন্ন অবকাঠামো সংস্কার-মেরামত ও উন্নয়নের নামে বিদায়ী অর্থবছরে ১২ কোটি টাকা খরচ করেছে গণপূর্ত অধিদফতর। মোট ১৬১টি কাজের বিপরীতে এ টাকা উত্তোলন করে নিয়েছেন ঠিকাদাররা, যার অন্তত ৩০ ভাগ পেয়েছেন বরিশাল গণপূর্ত বিভাগের প্রকৌশলীরা। এ নিয়ে প্রকাশ্য সভায় অভিযোগ করেছেন হাসপাতালের পরিচালক। গণপূর্তের কাজ তদারকিতে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি চেয়েছেন মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ। তবে এ কাজে কোনো দুর্নীতি হয়নি বলে দাবি করেছেন গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী। চলতি অর্থবছরে মেডিকেল কলেজের কেন্দ্রীয় মসজিদ সংস্কার ও উন্নয়নে ৩৮ লাখ টাকা খরচ দেখিয়েছে গণপূর্ত বিভাগ। রং করায় ৮ লাখ, দুই অংশে সীমানাপ্রাচীরে ১০ লাখ এবং ঈদগাহ উন্নয়নে বরাদ্দ ছিল ২০ লাখ টাকা। ঠিকাদার নামমাত্র কিছু কাজ করলেও মসজিদের সিলিংয়ের বিভিন্ন স্থানে এখনো ফাটল, সীমানাপ্রাচীরের পলেস্তারাসহ রং উঠে গেছে। দরপত্র অনুযায়ী উঁচু করা হয়নি ঈদগাহও।

একইভাবে মেডিকেল কলেজের তিনটি হোস্টেলে ৩ মেগাপিক্সেল ২৪টি সিসি ক্যামেরা, ৮ পোর্টের তিনটি ডিভিআর এবং ৩২ ইঞ্চি তিনটি মনিটর স্থাপনে খরচ দেখানো হয়েছে ১১ লাখ টাকা। বাজারে ২ হাজার ১০০ থেকে ২ হাজার ৩০০ টাকা মূল্যের একটি হাইক ভিশন ক্যামেরার মূল্য ধরা হয়েছে ১২ হাজার টাকা। মাত্র ২৪টি সিসি ক্যামেরাসহ আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি স্থাপনে ১১ লাখ টাকা খরচ অস্বাভাবিক বলে দাবি করেন মেডিকেল কলেজের আবাসিক শিক্ষার্থী শাহনাজ আহমেদ ও এহসান শাররিয়ার।

গণপূর্ত বিভাগের বরাদ্দের তুলনায় বাস্তব কাজে সন্তুষ্ট নন নার্সিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষকরা। তবে এসব বিষয়ে যুক্তির শেষ নেই গণপূর্ত-সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীদের।

নার্সিং কলেজে বৈদ্যুতিক বাতি এবং মেডিকেল হোস্টেলে সিসি ক্যামেরা স্থাপনে যুক্ত উপসহকারী প্রকৌশলী ফিরোজ আলম বলেন, একটি প্যাকেজের মাধ্যমে নার্সিং কলেজে ২১টি লাইট স্থাপন করা হয়েছে। এতে ৫ লাখ টাকাই খরচ গেছে। বাজারমূল্যের চেয়ে সিসি ক্যামেরার মূল্য পাঁচগুণ বেশি ধরার বিষয়ে তিনি বলেন, ভ্যাট-আয়কর এবং ঠিকাদারের লাভসহ এস্টিমেট করা হয়। এ কারণে বাজারমূল্যের চেয়ে সিসি ক্যামেরার দাম বেশি ধরা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর