বুধবার, ২৯ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

মিথ্যা ধর্ষণ মামলা করায় স্বামী-স্ত্রীর পাঁচ বছর জেল

নওগাঁ প্রতিনিধি

স্ত্রীকে দিয়ে মিথ্যা ধর্ষণের মামলা দায়ের করায় নওগাঁর সাপাহার থানার নুরপুর গ্রামের আবদুল হক মণ্ডলের ছেলে আফসার আলী ও তার স্ত্রী মনোয়ারা খাতুনকে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে তিন মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন নওগাঁ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. মেহেদী হাসান তালুকদার। আদালত সূত্রে জানা যায়, বেগুন গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে জেলার সাপাহার উপজেলার সাপাহার গ্রামের মৃত গিয়াস উদ্দিন মণ্ডলের ছেলে ওসমান গণির সঙ্গে আফসার আলীর গণ্ডগোল হয়। গণ্ডগোলের সূত্র ধরে মনোয়ারা খাতুনকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আফসার আলী তাকে দিয়ে ওসমান গণির বিরুদ্ধে ২০০৫ সালের ৬ এপ্রিল সাপাহার থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে উল্লেখ করেন, ২০০৫ সালের ৫ এপ্রিল সন্ধ্যা আনুমানিক ৭টা ৪৫ মিনিটে সাপাহার বাজার থেকে উকিলপাড়া যাওয়ার পথে তিলনা রোডের আফিল উদ্দিনের বাড়ির কাছে পৌঁছলে ওসমান আলী পেছন দিক থেকে মনোয়ারা খাতুনকে জাপটে ধরে রাস্তার পূর্ব পাশে চাতালের মধ্যে নিয়ে ধর্ষণ করেন। উভয়পক্ষের সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে ২০১৩ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি আদালত বেগুন গাছ কাটার বিবাদ ধরে এই মামলাটি মিথ্যাভাবে দায়ের করা হয়- পর্যবেক্ষণ দিয়ে ওসমান গণিকে আদালত খালাস প্রদান করেন। পরবর্তীতে ওসমান গণি ২০১৩ সালের ১১ সেপ্টেম্বর তার বিরুদ্ধে মিথ্যা ধর্ষণের মামলা দায়ের করায় আফসার আলী ও মনোয়ারার বিরুদ্ধে আদালতে একটি অভিযোগ দাখিল করেন। দুই পক্ষের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে গতকাল আদালত আফসার ও মনোয়ারা খাতুন উভয়কেই পাঁচ বছর সশ্রম কারাদ ও ২০ হাজার টাকা অর্থদ অনাদায়ে তিন মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করার রায় ঘোষণা করেন নওগাঁ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. মেহেদী হাসান তালুকদার। আদালতে উপস্থিত আফসার আলীকে কারাগারে পাঠানো হয় এবং তার স্ত্রী মনোয়ারা খাতুনের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেফতারি পরোয়ানা ইস্যু করা হয়।

সর্বশেষ খবর