মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার মহাজনপুরে আবদুল মান্নান (৬০) নামে এক পল্লী চিকিৎসককে কুপিয়ে জখম করার জেরে ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা আরিফুল ইসলাম মিঠুকে গণপিটুনি দিয়েছে গ্রামবাসী। মিঠু মহাজনপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক। বুধবার (২৯ মার্চ) সন্ধ্যার দিকে মহাজনপুর বাজারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত মান্নান মহাজনপুর গ্রামের ওমর আলীর ছেলে। মিঠু একই ইউনিয়নের কোমরপুর গ্রামের রেজাউল হকের ছেলে। আহত আবদুল মান্নানকে গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করে মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। পথিমধ্যে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অন্যদিকে গণপিটুনির শিকার মিঠুকেও রাজশাহীতে রেফার করা হয়েছে। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মহাজনপুর বাজারপাড়া এলাকায় ফজলু নামের এক ব্যক্তির জমি আবদুল মান্নানের ভাগ্নে তপু বিক্রি করে। জমি ক্রয়ের পর থেকেই ওই জমি নিয়ে মিঠুর সঙ্গে বিরোধ চলে আসছিল পল্লী চিকিৎসক আবদুল মান্নানের। বুধবার বিকালে জমিতে থাকা গাছের ডাঁটা পাড়তে গিয়ে আবদুল মান্নানের সঙ্গে মিঠুর বাগ্বিত ার সৃষ্টি হয়। এ সময় মিঠু দেশি অস্ত্র দিয়ে আবদুল মান্নানকে কুপিয়ে জখম করে। পরে স্থানীয়রা মিঠুকে গণপিটুনি দেন। খবর পেয়ে মুজিবনগর থানা পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে মিঠুকে উদ্ধার করে মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। এ বিষয়ে মুজিবনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদি রাসেল জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এ বিষয়ে উভয়পক্ষের মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।