রাজধানী সুপার মার্কেটটিও ঝুঁঁকিপূর্ণ বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতর (অগ্নিনির্বাপণ অধিদফতর)। গতকাল দুপুরে মার্কেটটির অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে এ কথা জানান অগ্নিনির্বাপণ অধিদফতরের কর্মকর্তারা।

অগ্নিনির্বাপণ অধিদফতর ঢাকা সদর জোন-১-এর উপ-সহকারী পরিচালক বজলুর রশিদ বলেন, অগ্নিকান্ডের ঝুঁঁকি কমবেশি সব মার্কেটেই আছে। তবে যেসব মার্কেটে দাহ্য বস্তু রয়েছে সেসব মার্কেটে আগুন লাগলে মুহূর্তের মধ্যেই তা ছড়িয়ে পড়ে। রাজধানী সুপার মার্কেটটিতেও আগুন লাগলে খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। ১০ মিনিটেই পুরো মার্কেটে আগুন ছড়িয়ে পড়বে। মার্কেটটিতে ফায়ার এক্সটিংগুইশার (নির্বাপক) ছাড়া আগুন নেভানোর জন্য আর কিছু নেই। তিনি বলেন, মার্কেটটির ইলেকট্রিক লাইনের অপরিকল্পিত সংযোগ ঝুঁঁকি আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। তবে আগের অবস্থা থেকে অনেক সরে এসেছে তারা। এরই মধ্যে ২ লাখ লিটার পানি মজুদের ট্যাংক নির্মাণ করেছে বলেও জানান তিনি। ফায়ারের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ঢাকা শহরের অনেক মার্কেট ঝুঁঁকিপূর্ণ। এর মধ্যে ঠাঁটারীবাজারের একটা মার্কেট আছে, রাজধানী সুপার মার্কেট, নিউ মার্কেট, চকবাজার মার্কেটসহ অনেক মার্কেট আছে। ঢাকার বেশির ভাগ মার্কেটই আমাদের চোখে ঝুঁঁকিপূর্ণ। এ বিষয়ে রাজধানী সুপার মার্কেট মালিক সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয়, দায়িত্ব নেওয়ার পর ফায়ার সেফটি নিশ্চিতে বেশ কিছু পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে কিছু কাজ এখনো চলমান। নতুন যেসব প্রস্তাবনা ফায়ার সার্ভিস দিয়েছে তা দ্রুত বাস্তবায়ন করার কথাও জানান তারা। সম্প্রতি রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেট ও ঝুঁঁকিপূর্ণ ভবন পরিদর্শন করছে ফায়ার সার্ভিস। পরিদর্শন শেষে ঝুঁঁকি ও করণীয় সম্পর্কেও পরামর্শ দিচ্ছে তারা।