বৃহস্পতিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

মুক্তিপণ দাবি পুলিশ কনস্টেবল গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলায় ডিবি পুলিশ পরিচয়ে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে যুবককে অপহরণ, মারধর ও মুক্তিপণ দাবির মামলায় পুলিশ কনস্টেবল মাসুদ রানাকে (২৪) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে পঞ্চগড় থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। কনস্টেবল মাসুদ রানা রংপুর রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্সে কর্মরত এবং প্রেষণে পঞ্চগড় পুলিশ লাইনসে কর্মরত ছিল। তিনি গঙ্গাচড়া উপজেলার আলমবিদিতর ইউনিয়নের পশ্চিম মনিরাম এলাকার আবদুল ওয়াহেদ মিয়ার ছেলে। মঙ্গলবার বিকালে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। গতকাল দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন গঙ্গাচড়া মডেল থানার ওসি দুলাল হোসেন। ওসি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মাসুদ রানা ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।

গত ৯ এপ্রিল রাত প্রায় ১টার দিকে উপজেলার আলমবিদিতর ইউনিয়নের চওড়াপাড়া গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে কৃষক মইদুল ইসলাম সোনা মিয়ার বাড়িতে যান ডিবি পুলিশ পরিচয়ে সাত/আটজন ব্যক্তি। এ সময় তারা সোনা মিয়াকে গ্রেফতার করা হলো জানিয়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় স্ত্রী সাথী বেগম তার স্বামীকে গ্রেফতারের কারণ জানতে চাইলে তাকে পিটিয়ে আহত করে কথিত ডিবি পুলিশের লোকজন। ঘটনার পর অপহৃত সোনা মিয়ার বাবা নুর ইসলাম ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম ও চেয়ারম্যানকে তাৎক্ষণিকভাবে পুরো বিষয় অবহিত করেন। খবর পেয়ে ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম অপহৃত সোনা মিয়ার বাসায় যান। পরে সোনা মিয়ার খোঁজে আলমবিদিতর খানাটারী গ্রামের সুরুজ মিয়াকে সঙ্গে নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে বের হন ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম। একপর্যায়ে রাত ৩টার দিকে সুরুজ মিয়া মোবাইল ফোনে অপহৃত সোনা মিয়ার বাবা নুর ইসলামকে ডেকে তার ছেলের মুক্তির জন্য ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। তাৎক্ষণিক কিছু টাকা সুরুজের হাতে দেন অপহৃত সোনা মিয়ার বাবা নুর ইসলাম। পরে পার্শ্ববর্তী নোহালী ইউনিয়নের একটি চাতাল থেকে সোনা মিয়াকে উদ্ধার করে পরিবারের সদস্যরা। এ ঘটনায় গত ১০ এপ্রিল গঙ্গাচড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন সোনা মিয়ার বাবা নুর ইসলাম। মামলার সূত্র ধরে পুলিশ সদস্য মাসুদ রানাকে গ্রেফতার করা হয়।

সর্বশেষ খবর