বুধবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

রাজধানীতে কেন গ্যাস ছড়িয়েছিল

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানী ঢাকায় গ্যাসের চাপ কমিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় গ্রাহকদের আতঙ্কিত না হয়ে নির্বিঘ্নে গ্যাসের চুলা ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। সোমবার রাতে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে প্রাকৃতিক গ্যাসের ঝাঁঝালো গন্ধে নগরবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনেকে ফায়ার সার্ভিসে ফোন করেন।

ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় গতকাল সকালে গ্যাসের এ গন্ধ কমে আসে এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। যদিও ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ তার আগে রাতে যেসব এলাকায় গ্যাসের গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে সেখানে কয়েক ঘণ্টা চুলা জ্বালানো থেকে গ্রাহকদের বিরত থাকার পরামর্শ দেয়। সোমবার রাতে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, পাইপলাইন থেকে গ্যাস ‘লিক’ করার মতো গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে। এ সময় বিভিন্ন এলাকার মসজিদ থেকে মাইকিং করে গ্যাসের চুলা বন্ধ রাখার আহ্বান জানানো হয়। অনেকেই এ সময় গ্যাসের চুলা ব্যবহার বন্ধ রাখেন। কেউ কেউ গ্যাসের মেইন সুইচও বন্ধ রাখেন। গতকাল সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সোমবার রাত সাড়ে ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে ঢাকার রামপুরা, বাড্ডা, বনশ্রী, দিলু রোড, মগবাজার ও বেইলি রোডসহ কয়েকটি এলাকায় গ্যাসের গন্ধ ছড়ানোর অভিযোগ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে তিতাস গ্যাসের ১৪টি ইমার্জেন্সি টিম এসব এলাকা সরেজমিন পরিদর্শন করে এবং জনগণকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দেয়। সেই সঙ্গে যেসব ডিস্ট্রিক্ট রেগুলেশন স্টেশনের (ডিআরএস) মাধ্যমে ঢাকায় গ্যাস সরবরাহ করা হয় সেসব ডিআরএস থেকে গ্যাসের চাপ কমিয়ে দেওয়া হয়। এর ফলে দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এ পরিস্থিতির কারণ ব্যাখ্যা করে বলেছে, ঈদের ছুটিতে শিল্প-কারখানা বন্ধ থাকাসহ স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় গ্যাসের ব্যবহার হ্রাস পাওয়ায় সরবরাহ লাইনে ‘চাপ কিছুটা বৃদ্ধি পায়। বর্তমানে গ্যাসের সরবরাহ লাইনে চাপ স্বাভাবিক রয়েছে এবং সরবরাহ সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। রাজধানীতে গ্যাস বিতরণকারী কোম্পানি তিতাসের পরিচালক (অপারেশন) সেলিম মিয়া গতকাল সন্ধ্যায় বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। গ্রাহকদের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।

সর্বশেষ খবর