বৃহস্পতিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা
আওয়ামী লীগ নেতার বাড়ি

হাত-পা বেঁধে নির্যাতনে মৃত্যু

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধের জেরে শাকিব রহমান নামে এক যুবককে আটকে রেখে হাত-পা বেঁধে রাতভর নির্যাতনের পর তার মৃত্যু হয়েছ। সোমবার দিনগত রাতে তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের ঘাগটিয়া গ্রামের উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মোশারফ হোসেন তালুকদারের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যায় শাকিব। সে ঘাগটিয়া গ্রামের মুজিবুর রহমানের ছেলে।

এ ঘটনায় বুধবার উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও তাহিরপুর কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন তালুকদারসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন নিহতের বাবা। আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ঘাগটিয়া গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে মোশারফ ও মুজিবুরের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে ইতিপূর্বে বাড়িঘর পোড়ানো, বহুবার সংঘর্ষ, ভাঙচুর, হাতের আঙুল কেটে ফেলাসহ একাধিক ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া এক পক্ষের বিরুদ্ধে অপর পক্ষের রয়েছে একাধিক মামলা। স্থানীয় সূত্র জানায়, সম্প্রতি ঘাগটিয়া বাজারে পূর্ববিরোধের জেরে মোশারফের ভাই মোশাহিদকে হত্যার হুমকি দেয় প্রতিপক্ষের শাকিব রহমান। এর পর সোমবার দিনগত রাতে খবর আসে শাকিবকে মোশারফের বাড়িতে বেঁধে রেখে নির্যাতন করা হচ্ছে। খবর পেয়ে শাকিবের বাবা মুজিবুর গ্রামের লোকজন নিয়ে ছেলেকে ছাড়িয়ে আনতে গেলে তাদের ওপর চড়াও হয় মোশারফের লোকজন। পরে ছেলেকে ফেলে রেখে সেখান থেকে পালিয়ে আসেন তারা। তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ ইফতেখার হোসেন জানান, রাত ২টার দিকে পুলিশকে খবর দেন মোশারফের লোকজন। তারা দাবি করেন, মোশারফের বাড়িতে আক্রমণ করতে আসার পর শাকিবকে আটকে রাখা হয়েছে। এদিকে, পুলিশ এসে মোশারফের দুজন লোক দিয়ে তাকে চিকিৎসার জন্য তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। কিন্তু তার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় সেখান থেকে তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে নেওয়ার পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে শাকিবের সঙ্গে থাকা মোশারফ পক্ষের দুজন লাশ ফেলে পালিয়ে যান।

 

সর্বশেষ খবর