সোমবার, ১ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা
সরগরম সিটি নির্বাচনের মাঠ

বৈঠক হয়নি ১৪ দলের, চলছে টানাপোড়েন

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে আওয়ামী লীগ। এবারও দলটি মনোনয়ন দিয়েছে দুবারের মেয়র ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনকে। তাঁকে ঘিরেই ঐক্যবদ্ধ স্থানীয় আওয়ামী লীগ। তবে ১৪ দলের সঙ্গে এনিয়ে এখনো আলোচনা না করায় ক্ষোভ আছে। ১৪ দলে         চলছে টানাপোড়েন। রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ২০০৮ ও ২০১৩ সালে নাগরিক কমিটির ব্যানারে নির্বাচন করেন এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন। ২০১৮ সালে নাগরিক কমিটির বদলে তিনি প্রার্থী হন ১৪ দলের। এবার ১৪ দল, নাকি শুধু আওয়ামী লীগের প্রার্থী এনিয়ে আছে ধোঁয়াশা। ইতোমধ্যে দলীয় নানা কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে একরকম প্রচারণায় নেমেছেন লিটন। তবে এনিয়ে আলোচনা হয়নি ১৪ দলের শরিক দলগুলোর নেতাদের সঙ্গে। ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ও রাজশাহী সদর আসনের এমপি ফজলে হোসেন বাদশা বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ মেয়র প্রার্থী নিয়ে তাদের সঙ্গে কোনো কথা বলেনি। প্রার্থী কোন দলের বা জোটের হবে- এনিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। তারা কথা না বললে আমরা কী করব। নিশ্চয় এনিয়ে আলোচনা হবে। এখনো মনোনয়নপত্র উত্তোলন বা জমা দেওয়া শুরু হয়নি। তার আগেই হয়তো আলোচনা হবে। না হলে আমরা ভাবব আমরা কী করব।’  নগর জাসদের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মাসুদ শিবলী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ তাদের প্রার্থী নিশ্চিত করলেও তিনি ১৪ দলের সঙ্গে সমন্বয় করে নির্বাচন করবেন কি না এনিয়ে কোনো কথা বা আলোচনা হয়নি। প্রার্থী নিজেই স্থানীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক। তিনি কী ভাবছেন, তা আমরা এখনো জানি না।’ আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতারা অবশ্য বলছেন, গ্রহণযোগ্যতা, জনপ্রিয়তা এবং বিতর্কমুক্ত কি না সেটা বিবেচনা করেই প্রার্থী বাছাই করা হয়েছে। ১৪ দলের সঙ্গেও তারা আলোচনা করবেন। নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ আলী কামাল বলেন, ‘শিগগিরই ১৪ দলের সঙ্গে আমরা বৈঠক করব। আলোচনা করব। কিন্তু প্রার্থী হবে আওয়ামী লীগের, নৌকার।’ সিটি নির্বাচন নিয়ে যখন স্থানীয় ১৪ দলে টানাপোড়েন, তখন এনিয়ে চিন্তিত নয় আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বলেন, চূড়ান্ত আলোচনা না হলেও ১৪ দল আওয়ামী লীগের প্রার্থীকেই সমর্থন দেবে। তিনি বলেন, সম্প্রতি শেষ হওয়া সংসদ উপনির্বাচনে তারা শরিক দলগুলোকে ছাড় দিয়েছেন। সেখানে আওয়ামী লীগ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেনি। সিটি নির্বাচনে ১৪ দলের শরিক দলগুলো কোনো প্রার্থী দেবে না।

সর্বশেষ খবর