মঙ্গলবার, ৯ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা

৯ ঘণ্টা নদীতে ভেসে থাকা জোহরা মারা গেছেন

শরীয়তপুর প্রতিনিধি

শরীয়তপুরের গোসাইরহাটে মেঘনা নদীতে লঞ্চ থেকে পড়ে যান জোহরা নামের এক নারী। ৯ ঘণ্টা পর তাকে উদ্ধার করা হয়েছিল। পরে ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল সকালে তার মৃত্যু হয়। জোহরা শরীয়তপুরের গোসাইরহাট থেকে ঢাকা যাওয়ার পথে গত বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঠান্ডার বাজার এলাকায় মেঘনা নদীতে পড়ে যান। ৯ ঘণ্টা নদীতে ভেসে থাকার পর বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে একটি নৌকার জেলেরা তাকে নদীতীরবর্তী এলাকা থেকে উদ্ধার করেন। লঞ্চ থেকে পড়ে যাওয়ার সময় তার বাঁ পা ভেঙে হাড় বেরিয়ে যায়। ওইদিন রাতে তার অস্ত্রোপচার হয়। হাসপাতালে জোহরার সঙ্গে থাকা তার মা নার্গিস বেগম জানান, আমরা অনেক চেষ্টা করেছি তাকে বাঁচানোর জন্য। কিন্তু পারলাম না। ওর দুই ছেলে ও এক মেয়ে মা হারা হয়ে গেল। গোসাইরহাট উপজেলার কুচাইপট্টি ইউনিয়নের পশ্চিম বিষকাটালি গ্রামের বাসিন্দা জহিরুল ইসলামের স্ত্রী জোহরা বেগম। স্বামী-সন্তানের সঙ্গে নারায়ণগঞ্জে থাকতেন তিনি। ঈদে গ্রামে বেড়াতে যান। বুধবার রাতে ঈগল-৩ লঞ্চে গ্রাম থেকে ঢাকায় ফিরছিলেন। রাত সাড়ে ৯টার দিকে তারা মাইঝাড়া ঘাট থেকে লঞ্চে ওঠেন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে লঞ্চটি ঠান্ডার বাজার এলাকায় পৌঁছলে অসাবধানতাবশত তিনি লঞ্চের দ্বিতীয় তলা থেকে মেঘনা নদীতে পড়ে যান। সেখানে লঞ্চ থামিয়ে লঞ্চের সার্চলাইট দিয়ে তাকে খোঁজাখুঁজি করা হয়। না পাওয়া গেলে তার সঙ্গে থাকা স্বামী ও ছেলেকে একটি জেলে নৌকায় নামিয়ে দেওয়া হয়। পরে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল করে জোহরার নিখোঁজ হওয়ার তথ্য জানানো হয়। জোহরার স্বজনেরা জানান, নদী থেকে উদ্ধারের পর জোহরাকে গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসকদের পরামর্শে স্বজনেরা তাকে ঢাকা নিয়ে যান।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর