রবিবার, ২৮ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা

কাজুবাদামের সম্ভাবনা কুমিল্লায়

মহিউদ্দিন মোল্লা, কুমিল্লা

কাজুবাদামের সম্ভাবনা কুমিল্লায়

৩৫ বছর আগে থেকে কুমিল্লায় চাষ হচ্ছে কাজু বাদাম। কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার রাজেশপুর ইকোপার্কের ভিতরে রয়েছে হাজারো গাছের কাজু বাদামের বাগান। বাগানের বাদামগুলো প্রতিবছর টেন্ডারের মাধ্যমে বিক্রি হয়। রাজেশপুর ইকোপার্ক সদর দক্ষিণ উপজেলার পূর্ব জোড় কানন ইউনিয়নের রাজেশপুর, জুগিরপুস্করিনী, জয়নগর, নির্ভয়পুর, গোয়ালগাঁও এবং হাসিবপুর মৌজায় অবস্থিত। এটি কুমিল্লা জেলা সদর থেকে ১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ, দক্ষিণ-পূর্ব এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ২ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত। এর আয়তন প্রায় ৬০০ একর। বাগানে গিয়ে দেখা যায়, শাল গাছের সঙ্গে আঁকাবাঁকা কাজু বাদাম গাছের সারি। কোনোটির বাদাম এখনো কাঁচা। কোনোটি পেকে গেছে। ঠিকাদার তার ফল সংগ্রহ করছেন। পাকা রঙিন ফলের গা থেকে ভেসে আসে মিষ্টি ঘ্রাণ। ফলের ওপরের অংশ থেকে বাদাম পাওয়া যায়, নিচের অংশ থেকে জুস, ভিনেগার ও মসলা তৈরি করা হয়। কুমিল্লা গার্ডেনার্স সোসাইটির পরিচালক ডা. আবু মোহাম্মদ নাঈম বলেন, কাজু বাদাম হৃৎপিন্ডের শক্তি বৃদ্ধি করে। হাড় ও দাঁতের গঠনে সাহায্য করে। ক্যান্সার প্রতিরোধ ও হজমে সাহায্য করে। এ ছাড়া ডায়াবেটিস রোগীর জন্য উপকারী ও অবসাদ দূর করে।

ইকোপার্কের কাজু বাদামের বাগানটি সঠিকভাবে পরিচর্যা করা হলে এ থেকে বাড়বে রাজস্ব আয়। রাজেশপুর ইকোপার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির বলেন, এখানে সীমানা প্রাচীর নেই। অনেকে কাজু বাদামের গুরুত্ব বুঝে না। না বুঝে নষ্ট করে ফেলেন। বন কর্মীদের অক্লান্ত পরিশ্রমে বাগানটি ৩৫ বছর ধরে ফল দিয়ে যাচ্ছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর কুমিল্লার উপপরিচালক মো. মিজানুর রহমান বলেন, আমরা দুই বছর ধরে সদর, সদর দক্ষিণ ও লালমাই উপজেলার বিভিন্ন স্থানে কাজু বাদামের চাষ করেছি। কম্বোডিয়া, ভারত ও ভিয়েতনামের বীজ লাগিয়েছি। এতে ভালো ফল আসবে। তা রপ্তানিও করা যাবে। আমাদের কিছু গাছে ফুল এসেছে। আশা করছি এক-দুই বছরের মধ্যে ভালো ফল পাব।

সর্বশেষ খবর