মঙ্গলবার, ১৩ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

ছয় বাড়িতে বোমা হামলা গুলিবর্ষণ

ফরিদপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুর সদর উপজেলার গেরদা ইউনিয়নের সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান মাকসুদ আলী বিদুর বাড়িতে বোমা হামলা ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। রবিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে। একই সময় মাকসুদ আলীর স্বজনদের আরও পাঁচটি বাড়িতে বোমা হামলা চালানো হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুটি বিস্ফোরিত বোমার অংশবিশেষ ও এক রাউন্ড গুলির খোসা উদ্ধার করে। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। মাকসুদ আলীর স্বজনরা জানান, রাত ৩টার দিকে একতলা বাড়ির প্রধান দরজায় পরপর দুটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। একই সঙ্গে হামলাকারীরা এক রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে। গুলিটি দরজা ভেদ করে ঘরের মধ্যে ঢুকে যায়। ঘটনার সময় মাকসুদ আলী বিদু ঢাকায় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এ ঘটনায় কেউ আহত না হলেও বাড়ির লোকজন আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ে। একই সময়ে একই এলাকার সৈয়দ এনাম সুলতান, সৈয়দ হাসানুজ্জামান চপল, সৈয়দ মাহফুজ্জামান, খন্দকার জীবানুর রহমান নাদিম ও সৈয়দ মোশাররফ আলী আশফাকের বাড়িতে বোমা হামলা চালানো হয়। তবে কী কারণে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে তা কেউ জানাতে পারেনি। মাকসুদ আলীর পরিবারের দাবি, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে এলাকার একটি পক্ষের সঙ্গে তার দ্বন্দ্ব চলছিল। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হওয়া গেরদা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মাকসুদ আলী নৌকার মনোনয়ন চান। কিন্তু মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করেন। সে নির্বাচনে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে অল্প ভোটে হেরে যান আওয়ামী লীগ নেতা মাকসুদ আলী। নির্বাচনের সময় থেকেই একটি মহল তার ওপর প্রচ- ক্ষিপ্ত ছিল। এ হামলা সে কারণে হয়ে থাকতে পারে বলে তাদের ধারণা। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিস্ফোরিত দুটি বোমা ও একটি গুলির খোসা আলামত হিসেবে জব্দ করেছে। গেরদা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা শাহ মো. এমার হক জানান, যারা এ ধরনের ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় এনে বিচার করতে হবে। কোতোয়ালি থানার ওসি (তদন্ত) আবদুল গাফফার জানান, ঘটনার পর পুলিশ কিছু আলামত জব্দ করেছে। তদন্ত করে দোষীদের খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনা হবে।

 

সর্বশেষ খবর