ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলায় আবির হুসাইন নাঈম ও নূর হোসেন নামে আপন দুই সহোদরের শরীর বিরল রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তাদের চোখ, নখসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ফেটে গিয়ে রক্তাক্ত হয়ে ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। কিছুতেই  গরম সহ্য করতে পারে না। রক্ত বের হতে থাকলে দেখা দেয় প্রবল শ্বাসকষ্ট। অনেক সময় হাত-পা কুঁকড়ে যায়। জন্মের পরই দুই ভাইয়ের শরীরে এ রোগ দেখা দিয়েছে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে। এ অবস্থায় বড় ছেলে আবির হুসাইন নাঈম (১৪) ও শিশু নূর হোসেনের (৪) জীবন চলছে। বিরল রোগে আক্রান্ত দুই শিশুকে ভারত, ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে অনেক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত রোগটিই শনাক্ত করা যায়নি। ভারত ও বাংলাদেশে চিকিৎসা করাতে গিয়ে ১২-১৫ লাখ টাকা খরচ হয়েছে পরিবারটির। এখন ভিটেমাটি ছাড়া কিছুই নেই। ভারতের ভেলোর সিএমসি হাসপাতালের চিকিৎসকরা পুনরায় সেখানে চিকিৎসা নিতে যাওয়ার জন্য বললেও বর্তমানে পরিবারটি পড়েছে অর্থ সংকটে। এক চা দোকানি বাবার পক্ষে দুই সন্তানের চিকিৎসা করানো দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে। বর্তমানে অর্থাভাবে শিশু দুটির সবরকম চিকিৎসা বন্ধ। নাঈম ও নূর আলফাডাঙ্গা উপজেলার সদর ইউনিয়নের শুকুরহাটা গ্রামের চা দোকানি হাবিবুর রহমান ও রাবেয়া বেগম দম্পতির সন্তান। দুই সন্তানের চিকিৎসার ব্যাপারে সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা চেয়েছেন তারা। তাদের সহযোগিতা করার মাধ্যম হচ্ছে হাবিবুর রহমান, ব্যাংক হিসাব নম্বর ২৮০১৯২২৯৬৮০০১, সিটি ব্যাংক, আলফাডাঙ্গা শাখা, ফরিদপুর এবং বিকাশ নম্বর ০১৯২৩৫২৯৯৩২। উপজেলার সদর ইউনিয়নের শুকুরহাটা গ্রামের চা বিক্রেতা হাবিবুর রহমান জানান, তাদের প্রথম সন্তান সুরাইয়া এ রোগে আক্রান্ত হয়ে জন্মের ১০ মাস পর মারা যায়। এরপর আল্লাহ তাদের দুটি ছেলে ও একটি মেয়ে দিয়েছেন। দুই ছেলে নাঈম ও নূর হোসেন এ রোগে আক্রান্ত হয়। বড় ছেলে ইচাপাশা হাফেজিয়া নুরানি মাদরাসায় আট পারা হাফেজি শেষ করেছে। মেজো মেয়ে সাদিয়া আক্তার সামিয়ার বয়স নয় বছর। সেও ওই মাদরাসায় নুরানি বিভাগে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ালেখা করে। ২০১৮ সালে ভারতের ভেলোর সিএমসি হাসপাতালে দুই ছেলেকে নিয়ে চিকিৎসা করিয়েছেন। করোনার পর ওই হাসপাতালে যাওয়ার কথা ছিল। এখন অর্থনৈতিক সমস্যা নিয়ে চা বিক্রি করে কোনোমতে সংসার চলছে।