বৃহস্পতিবার, ১৫ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

খুলনায় হেরেছেন দাপুটে কাউন্সিলর প্রার্থীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

টানা চারবার ২০০২, ২০০৮, ২০১৩ ও ২০১৮ সালে খুলনা সিটি নির্বাচনে ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছিলেন মো. আনিছুর রহমান বিশ্বাস। ২০১৫-২০১৬ সালে তিনি সিটির ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব পালন করেন। ১২ জুনের নির্বাচনে আনিছ বিশ্বাস পরাজিত হয়েছেন। এক সময় যুবদলে নেতা আনিছ বিশ্বাস ২০১৯ সালের ২৪ মার্চ আওয়ামী লীগে যোগ দেন। তার মতো দল বদল করা কাউন্সিলর ২ নম্বর ওয়ার্ডে মো. সাইফুল ইসলাম, ৭ নম্বর ওয়ার্ডে সুলতান মাহমুদ, ৮ নম্বর ওয়ার্ডে এইচ এম ডালিম, ১২ নম্বর ওয়ার্ডে মো. মনিরুজ্জামানও নির্বাচনে পরাজিত হয়েছেন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়ায় দলীয় কর্মী-সমর্থকদের সমর্থন হারিয়েছেন এসব কাউন্সিলর। তাছাড়া আওয়ামী লীগের শক্ত প্রার্থীর বিরুদ্ধে তাদের মাঠে নামতে হয়েছে। এসবই তাদের পরাজয়ের কারণ। নির্বাচনে ১ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর শেখ আবদুর রাজ্জাক, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কবির হোসেন কবু মোল্লা, ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাজী তালাত হোসেন কাউট, ১১ নম্বর ওয়ার্ডের মুন্সি আবদুল ওয়াদুদ, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে আশফাকুর রহমান কাকন, ২১ নম্বর ওয়ার্ডের শামছুজ্জামান মিয়া স্বপন ও ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে আজমল আহমেদ তপন পরাজিত হয়েছেন। এর মধ্যে আজমল আহমেদ তপন ২০১৩ সালে সিটির ভারপ্রাপ্ত মেয়র ও শামছুজ্জামান মিয়া স্বপন প্রভাবশালী কাউন্সিলর হিসেবে পরিচিত ছিলেন। সংরক্ষিত ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর রহিমা আক্তার হেনা, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের পারভীন আক্তার, ৬ নম্বর ওয়ার্ডে শেখ আমেনা হালিম বেবী ও ১০ নম্বর ওয়ার্ডের মিসেস রোকসানা কালাম লিলি হেরেছেন। কেসিসি নির্বাচনে পাঁচ মেয়রপ্রার্থীর মধ্যে তিনজন জামানত হারিয়েছেন। তারা হলেন- জাতীয় পার্টির শফিকুল ইসলাম মধু, জাকের পার্টির এস এম সাব্বির হোসেন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম শফিকুর রহমান মুশফিক। শফিকুল ইসলাম মধু পেয়েছেন ১৮ হাজার ৭৮ ভোট, এস এম সাব্বির হোসেন পেয়েছেন ৬ হাজার ৯৬ এবং এস এম শফিকুর রহমান মুশফিক পেয়েছেন ১৭ হাজার ২১৮ ভোট। নির্বাচনী বিধি অনুসারে প্রদত্ত ভোটের সাড়ে ১২ শতাংশের কম ভোট পাওয়ায় তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর